CPIM

কৃষক আন্দোলনে হামলা,অনশন-অবস্থান শহরে

মান্নানের অভিযোগ, চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের সরকার কৃষকদের দাবিকে কর্ণপাত করছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:০২
Share:

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ধর্মতলায় অনশন-অবস্থান মঞ্চে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবং কৃষক আন্দোলন ভাঙতে দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এ বার রাতভর অনশন কলকাতায়। কৃষকদের প্রতিবাদের পাশে দাঁড়িয়ে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র ডাকে শুক্রবার ওই অনশন-অবস্থান শুরু হয়েছে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে। কর্মসূচি চলবে আজ, শনিবার পর্যন্ত। অবস্থান-মঞ্চে গিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী কৃষক আন্দোলন ভাঙতে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকার কড়া নিন্দা করেছেন।

Advertisement

মান্নানের অভিযোগ, চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের সরকার কৃষকদের দাবিকে কর্ণপাত করছে না। উল্টে, দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধেই সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেই রাজ্য বিধানসভায় বৃহস্পতিবার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মান্নান বলেন, এ রাজ্যেও ২০১৪ ও ২০১৭ সালে এমন আইন পাশ হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় আইনেরই প্রথম ধাপ বলা যায়। রাজ্যের সেই আইন বাতিলের দাবিও তাঁরা তুলেছিলেন কিন্তু রাজ্য সরকার তা মানেনি। সুজনবাবু বলেন, দিল্লির সীমানায় টানা অবস্থান চলাকালীন শতাধিক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের ‘শহিদ’-এর মর্যাদা প্রাপ্য। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মোকাবিলা করতে না পেরে কেন্দ্রীয় সরকার চক্রান্ত করে প্রতিবাদের গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা করে তার পরে দিল্লির সীমানাগুলিতে পুলিশ পাঠিয়ে অবস্থান তুলে দিতে চাইছে— এর কড়া জবাব মোদী সরকার পাবে বলে সুজনবাবুর দাবি। কেন্দ্র যে ভাবে কৃষি আইন নিয়ে এগিয়েছে, তার সমালোচনায় আরও কিছু কথা তাঁরা বিধানসভার প্রস্তাবে রাখতে চেয়েছিলেন কিন্তু রাজ্যের সরকার পক্ষ রাজি হয়নি, সে কথা বলেছেন সুজনবাবুও।

হাওড়া জেলার বাগনান থানা এলাকা থেকে কিছু ঘরছাড়া মানুষ এসে যোগ দিয়েছেন অনশন-অবস্থানে। সুজনবাবুকে পেয়ে এ দিন তাঁরা অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁরা ‘নির্দল’ প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন। সেই ‘বিক্ষুব্ধ’ অবস্থান নেওয়ার পর থেকেই তাঁরা আর ঘরে ফিরতে পারছেন না বলে অভিযোগ করে বিষয়টি প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে জানানোর দাবি তোলেন তাঁরা। ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী মঞ্চে প্রস্তাব নিয়ে বলেছেন, এ রাজ্যের কৃষকেরা কুইন্টাল প্রতি ১১০০ বা ১২০০ টাকা দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ রাজ্যের ঘোষিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ১৮৬৮ টাকা। প্রতিটি পঞ্চায়েতে শিবির করে সরকারি দামে ধান কেনার দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

দিল্লির সীমানায় যে ভাবে কৃষক অবস্থান ভাঙার চেষ্টা এবং কৃষক নেতাদের ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে কাল, রবিবার রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখা। সে দিন জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ-সভা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement