নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিজেপি ছাড়ছেন হুমায়ুন

হুমায়ুন অবশ্য বলেন, ‘‘না বোঝার কিছু নেই। রাজনীতিতে থাকতে হলে ‘মানুষের স্বার্থ’ নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারব না।’’ তা হলে এ বার যাবেন কোথায়? সে ব্যাপারে না ভাঙলেও রেজিনগর এলাকায় প্রাক্তন মন্ত্রীর দাপট যে অনস্বীকার্য, তা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস কিংবা তৃণমূল— দু’পক্ষই। তা হলে...  হুমায়ুন বলছেন, ‘‘একটু ভেবে দেখি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০৫
Share:

হুমায়ুন কবীর। ফাইল চিত্র।

রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার সঙ্গেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ-ও বদলে যেতে চলেছে।

Advertisement

বিজেপি’র সঙ্গে তাঁর পাক্কা আঠারো মাসের মধুচন্দ্রিমায় দাঁড়ি টেনে ফের দল ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। শক্তিপুরের বাড়িতে বসে বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়ে দিলেন, ‘‘যে দলেই থেকেছি মুর্শিদাবাদের মানুষ আমায় ভালবেসে পাশে থেকেছেন। কিন্তু নাগরিকত্ব বিল সেই সব মানুষের স্বার্থে খাঁড়ার মতো নেমে আসছে। তাই বিজেপি-তে আর থাকব না।’’ রাজ্য জুড়ে এনআরসি-র প্রতিবাদের ছায়ায় বুধবার দোসর হিসেবে জুড়ে গিয়েছে সিএবি বা নাগরিকত্ব বিলের আতঙ্ক। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন বিরোধীরা।

সেই বিরুদ্ধাচারণের তালিকায় যে বিজেপি’র কোনও নেতাও থাকতে পারেন, দলের শীর্ষ নেতারা তা ভাবতে পারেননি। দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় তাই খবরটা শুনে হুমায়ুনকে পরামর্শ দেন, ‘‘জলদবাজি মত দিখাও যারা শোচ কে তো দেখো (তাড়াহুড়ো কোর না, ভেবে দেখো)!’’ বিজেপি’র মুর্শিদাবাদ (দক্ষিণ) জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলছেন, ‘‘আমাকে এখনও দলত্যাগের ব্যাপারে কিছু তো জানাননি। আসলে হুমায়ুন বিজেপিকে বুঝতে পারেননি।’’ হুমায়ুন অবশ্য বলেন, ‘‘না বোঝার কিছু নেই। রাজনীতিতে থাকতে হলে ‘মানুষের স্বার্থ’ নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারব না।’’ তা হলে এ বার যাবেন কোথায়? সে ব্যাপারে না ভাঙলেও রেজিনগর এলাকায় প্রাক্তন মন্ত্রীর দাপট যে অনস্বীকার্য, তা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস কিংবা তৃণমূল— দু’পক্ষই। তা হলে... হুমায়ুন বলছেন, ‘‘একটু ভেবে দেখি।’’

Advertisement

একদা অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এবং পরে সেই অধীরের সঙ্গেই তিক্ততার জেরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে পা বাড়িয়েছিলেন হুমায়ুন। যোগ দিয়েই পেয়েছিলেন মন্ত্রিত্ব। তবে ঠোঁটকাটা হুমায়ুন দলের তদানীন্তন জেলা পর্যবেক্ষকের সম্পর্কে ‘বিরূপ’ মন্তব্য করায় দল তাঁকে ছেঁটে ফেলেছিল। ২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে। পরের বছরে পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরলেও ২০১৮ সালে ফের দল বদলে পা বাড়িয়েছিলেন বিজেপিতে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি’র প্রার্থীও হয়েছিলেন এবং সব হিসেব উল্টে দিয়ে সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগই নিজের ভোট বাক্সে টেনে এনেছিলেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement