প্রতীকী ছবি
ঘর থেকে এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে জগৎবল্লভপুরের নলদা গ্রামের বাসিন্দা, সবিতা মালিক (৩৬) নামে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের পরে পুলিশের অনুমান, তাঁকে ধারাল কিছু দিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁর গলা-সহ দেহের নানা জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সবিতার বাপের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে। বছর পনেরো আগে নলদা গ্রামের কৃপাসিন্ধু মালিকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কৃপাসিন্ধু মুম্বইয়ে সোনার কাজ করেন। ওই দম্পতি নিঃসন্তান। বাড়িতে সবিতা একাই থাকতেন। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাজ শুরু করে দিতেন তিনি। কিন্তু এ দিন সকাল ৯টাতেও তাঁর সাড়াশব্দ না-পেয়ে পড়শিদের সন্দেহ হয়। পাঁচিলের দরজা বন্ধ থাকায় টালি খুলে কয়েকজন যুবক ঘরে ঢুকে দেখেন, তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। খবর যায় পুলিশে।
তদন্তকারীদের অনুমান, এই খুনে যে জড়িত, সে ওই মহিলার পরিচিত। কারণ, পাঁচিলের দরজা ভিতর থেকে খিল দিয়ে বন্ধ থাকলেও মহিলার দেহটি যে ঘর থেকে মেলে, তার দরজা ভেজানো ছিল। তাই আততায়ী অবাধে ওই ঘরে ঢুকতে পেরেছিল। কোনও কিছু নিয়ে তার সঙ্গে মহিলার বিবাদ হয়। তার জেরেই খুন। নিহতের বাবা সুফল মণ্ডলের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি এ দিনই হাওড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়
স্ত্রীর খুন হওয়ার কথা জানতে পেরে মুম্বইয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃপাসিন্ধু। সেখান থেকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রীর কোনও শত্রু ছিল বলে ভাবতে পারছি না। কী ভাবে এটা ঘটল বুঝতে পারছি না।’’ তিনি গ্রামে ফিরে আসছেন বলে কৃপাসিন্ধু জানান।