করোনা বিধি মেনে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর মতো জগদ্ধাত্রী পুজোও এ বার করোনা বিধি মেনে। ফি বছরের জৌলুস তাই থাকবে না। আর এতেই মন ভাল নেই আলোর শহর চন্দনগরের।
এই শহরে জগদ্ধাত্রী পুজোর রীতি ৩০০ বছরের বেশি পুরনো। কৃষ্ণনগরের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করলেও চন্দননগরের পুজোর জৌলুসই আলাদা। অনেক জায়গাতেই প্রতিমার উচ্চতা ২০-২৫ ফুট। সঙ্গে মানানসই চালচিত্র ও ডাকের সাজ। আর সব থেকে বড় কথা মন মাতানো, চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। কিন্তু এ বার করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুই হবে মেপে।
চন্দননগরে চার দিনের পুজোর বড় আকর্ষণ দশমীর শোভাযাত্রা। আলোর জাদু দেখতে রাত জাগে চন্দননগর। এ বার সে সব বন্ধ। শুধু চন্দননগর নয়, পাশের শহর ভদ্রেশ্বরেও জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত। দুই শহর মিলিয়ে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির নিয়ন্ত্রণ ১৭১টি পুজো হয়। সব পুজোরই প্রস্তুতি চলছে তবে করোনা বিধির কথা মাথায় রেখে।
এ বার দশমীতে যেমন শোভাযাত্রা হবে না তেমনই পুজোর দিনগুলিতে কোথাও মেলা বসবে না, ভোগ বিতরণ হবে না। পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রেও মানতে হবে যাবতীয় স্বাস্থ্য বিধি। সকলেই বলছেন, পুজো হলেও উৎসবে মেতে ওঠা হবে না। তেমন করে সাজবেও না শহর। তাই মন খারাপ নিয়েই চলছে প্রস্তুতি।