প্রতীকী চিত্র।
ফের এটিএম লুট। আবারও সেই হাওড়াতেই। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে লিলুয়ার দক্ষিণ খালিয়ায়। গত ডিসেম্বরেই লিলুয়ার বেনারস রোডের আর একটি এটিএমে একই কায়দায় লুটপাট চালানো হয়েছিল।
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাওড়া কমিশনারেট এলাকায় সাতটি এটিএম লুটের ঘটনা ঘটেছে। হাওড়ায় একের পর এক এটিএম লুটের ঘটনায় ‘হরিয়ানা গ্যাং’-এর হাত রয়েছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রের খবর, ছোট ট্রাক বা এসইউভি-তে পোর্টেবল গ্যাস কাটার নিয়ে আসে হরিয়ানার মেওয়াটের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীরা। গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম কেটে টাকা লুট করে চম্পট দেয় তারা। এ ভাবে একই দিনে একাধিক জায়গায় ‘অপারেশন’ চালায় ওই দল।
পুলিশ জানায়, গত জানুয়ারিতে আন্দুলে পরপর দু’টি এটিএম লুটের ঘটনার পরেই ‘হরিয়ানা গ্যাং’-এর কথা জানা যায়। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ এবং হাওড়া কমিশনারেটের গোয়েন্দারা যৌথ ভাবে মেওয়াটে হানা দিলেও কাউকে ধরতে পারেননি।
শনিবার সকালে এটিএম লুটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া কমিশনারেটের ডিসি (উত্তর) অংশুমান সাহা। তিনি বলেন, ‘‘ওই এটিএম থেকে প্রায় ২১ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা লুট হয়েছে। দুষ্কৃতীরা শাটার খুলে গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম কেটে টাকা লুট করেছে। তার আগে সিসি ক্যামেরার তার কেটে দিয়েছিল তারা।’’ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, শুক্রবার রাতের ওই ঘটনায় তিন-চার জন যুক্ত ছিল। একটি গাড়িতে চেপে এসেছিল তারা। এক জন বসে ছিল চালকের আসনে। অন্য এক জন রাস্তায় পাহারা দিচ্ছিল। এটিএমের ভিতরে ঢুকেছিল দু’জন। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে লিলুয়ায় দু’টি, ২০১৯ সালে বেলেপোলে একটি ও বেলগাছিয়ায় একটি এটিএম লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ বছর আন্দুলে দু’টি ও লিলুয়ায় একটি ঘটনা ঘটল। সব ক’টি লুটই অবশ্য একই কায়দায় বলে দাবি তদন্তকারীদের।