দেবাশিস মুথোপাধ্যায়— নিজস্ব চিত্র।
বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার দিন তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন ডানকুনি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। বুধবার ডানকুনিতে তাঁর দফতরে বসে ডানকুনি পুরসভার বর্তমান পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস বলেন, ‘‘তৃণমূল যে সংগ্রাম, নীতি এবং আদর্শ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, সেটা আর দলে অবশিষ্ট নেই। সেই কারণেই অনেক নেতা, সাংসদ ও বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন।’’
ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হুগলি জেলার তৃণমূলের নেতা দেবাশিস বলেন, ‘‘দলের নেতা-কর্মীদের উপরেই ভরসা নেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। তাই যারা পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে কিছু জানেই না, সেই কর্পোরেট সংস্থাকে আনা হয়েছে। এর ফলে দলের আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে।’’
শুভেন্দু প্রসঙ্গে দেবাশিস বলেন, ‘‘যুব তৃণমূল করার সময় থেকে শুভেন্দুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আগামী দিনে শুভেন্দুর পথই হতে চলেছে আমাদের পথ। শুভেন্দু রাজ্য রাজনীতিতে সংগ্রামের অন্যতম মুখ। তাই মানুষের সমর্থন সব সময় তাঁর সঙ্গে রয়েছে।’’
এ বিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘কে কোথায় থাকবে, কোথায় যাবে সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। দল সবকিছু নজরে রাখছে।’’
তৃণমূলের জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে বুধবার দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলেছেন দেবাশিস। তিনি বলেন, ‘‘এখন যারা নেতাদের তেল মাখাতে পারছে আর দুর্নীতি করছে, তারা সামনের সারিতে থাকছে। আর যারা দিনরাত মানুষের জন্য কাজ করছে তাদের জায়গা পিছনে। তাই শুভেন্দু যেদিকে যাবে আমরাও সেই দিকে যাব।
এর আগে হুগলিতে শুভেন্দুর নামে ‘দাদার অনুগামী’ পোস্টার পড়েছিল একাধিক জায়গায়। শুভেন্দু পোলবা এবং বলাগড়ে দু’টি ‘অরাজনৈতিক’ সভাতেও যোগ দিয়েছিলেন। সেই সভায় জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতাকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু দল ছাড়লে হুগলি জেলার একাধিক নেতা তাঁর সঙ্গী হবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।