উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরের জাতীয় সড়ক। নিজস্ব চিত্র
লোকাল বাস, অটো, ট্রেকার-টোটো বা সাইকেল-মোটরবাইকের যাওয়ার জন্য মুম্বই রোডের দু’পাশে রয়েছে সার্ভিস রোড। কিন্তু ওই সব যানবাহনই উঠে পড়ছে দ্রুত গতির জাতীয় সড়কে। বাস, অটো-ট্রেকার যেখানে-সেখানে দাঁড়াচ্ছে। যাত্রী তুলছে। দুর্ঘটনা বাড়ছে। কারণ, সার্ভিস রোড ‘দখল’ করে নিয়েছে ট্রাক-ট্যাঙ্কার।ছবিটা গ্রামীণ হাওড়ার রানিহাটি থেকে কোলাঘাট সেতুর আগে পর্যন্ত ওই সড়কের প্রায় ৪২ কিলোমিটারের। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১০টি। প্রাণ গিয়েছে এক ট্যাঙ্কার-চালক এবং দুই বাইক আরোহীর। আহত হন অন্তত ১২ জন।জাতীয় সড়কের দু’দিকেই গ্রাম রয়েছে। সার্ভিস রোড ‘দখল’ হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসী এবং নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। ‘দখলদারি’ হটাতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে তাঁদের অভিযোগ। তাঁরা মনে করছেন, সার্ভিস রোড ব্যবহার করা গেলে দুর্ঘটনাও কমবে। বাস-অটো ধরতে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে জাতীয় সড়কে দাঁড়াতে হবে না। হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) ট্র্যাফিকের ডিএসপি মহম্মদ আলি রাজার দাবি, ‘‘গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। পুলিশ নিয়মিত নজরদারি চালায়। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকে বারে বারে তাড়ানো হয়। তবু পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে কিছু ট্রাক-ট্যাঙ্কার চালক সার্ভিস রোড দখল করে বা জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকে। নজরদারি আরও জোরদার করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ওই গাড়ি-চালকদের জরিমানা করা হবে।’’
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে বীরশিবপুরে ট্রাক-ট্যাঙ্কার দাঁড়ানোর জায়গা আছে। সেখানে প্রায় দু’হাজার গাড়ি দাঁড়াতে পারে। এ ছাড়া ধূলাগড়ি ও আলমপুরে কয়েকটি বেসরকারি ‘পার্কিং জ়োন’ আছে। সেখানেও ট্রাক-ট্যাঙ্কার দাঁড়াতে পারে।তা হলে কেন সার্ভিস রোডে ভিড়? শনিবার বীরশিবপুর শিল্পতালুকের সামনে সার্ভিস রোডে দাঁড়ানো ট্রাকচালক রবি দাস বলেন, ‘‘পার্কিংয়ের জায়গা পাইনি। সারারাত গাড়ি চালিয়েছি। তাই একটু বিশ্রাম নিতে দাঁড়িয়েছি।’’ একই দাবি আরও কয়েকজন চালকের।