road construction

কাদায় ভরেছে রাস্তা, চটি হাতে চলাও দায়

বর্ষায় রাস্তার হাল দেখে চমকে উঠতে হয়। থকথকে কাদায় চটি হাতে নিয়েও মানুষের পথ চলা দায়।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

কোন্নগর শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪৭
Share:

বেহাল নৈটি রোড। ছবি: দীপঙ্কর দে

থকথকে কাদার তলায় যে লম্বা রাস্তা চলে গিয়েছে, কে বলবে!
কোন্নগর স্টেশন থেকে দিল্লি রোড অন্তত ৮ কিলোমিটার। যে রাস্তাটি দু’প্রান্তের সংযোগ ঘটিয়েছে, তার নাম নৈটি রোড। রাস্তাটি দিল্লি রোড থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের সংযোজক হিসেবেও কাজ করে। কিন্তু বর্ষায় রাস্তার হাল দেখে চমকে উঠতে হয়। থকথকে কাদায় চটি হাতে নিয়েও মানুষের পথ চলা দায়।
রাস্তার দু’ধারে বসতি রয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুল, কল-কারখানা রয়েছে। করোনা আবহে স্কুল বন্ধ। তাই রক্ষে! না হলে ওই রাস্তায় সাত-আটটি স্কুলের পুলকার চলে। শ’য়ে শ’য়ে ছাত্রছাত্রী ওই পথ দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাতায়াত করে। হিন্দমোটর কারখানা চত্বরে রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানার জিনিসপত্র নিয়ে গাড়ি আসা-যাওয়া করে। বহু শ্রমিক রাস্তাটি ব্যবহার করেন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পঞ্চায়েত, প্রশাসন, পুলিশ কাউকে জানিয়েই কোনও কাজ হয়নি। শুধু
প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
রাস্তাটি চণ্ডীতলার নৈটিতে গিয়ে মিশেছে বলেই ওই নাম। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় পিচের প্রলেপ এতদিন পড়েনি কেন?
প্রশাসনের অন্দরের খবর, ওই রাস্তাটি আদপে সরকারি কোন দফতরের আওতায়, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি ও ধন্দ ছিল। কেউ দাবি করছিলেন, রাস্তাটি কেএমডিএ-র। কারও দাবি ছিল, পূর্ত দফতরের। এই টানাপড়েনেই এতদিন রাস্তার কাজ থমকে ছিল। শেষমেশ জানা যায়, রাস্তাটি জেলা পরিষদের। এখন রাস্তাটি সারানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই রাস্তার দিল্লি রোডের দিকে এক কিলোমিটার অংশের কাজ শুরু হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ বেশিদিন হবে না। বর্ষায় কাজে একটু সময় লাগছে। মুর্শিদাবাদের এক ঠিকাদার সংস্থা ওই কাজ করছে। ওই রাস্তার মান খুব ভাল হবে। ছ’বছর রাস্তাটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বেও থাকবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থা।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement