সংঘর্ষে জখম পুলিশ।
এক ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীকে বাড়ি ফেরানোর কর্মসূচি নিয়ে হাতাহাতি বাধল বিজেপি- তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। রবিবার হরিপালে দু'দলের এই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মাথা ফেটেছে তেজাউল মণ্ডল নামে পুলিশ কর্মীর। জখম হন দুই দলের ছয় কর্মীও।
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, আশুতোষ গ্রামের তৃণমূল কর্মী ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী ও বিজেপি কর্মী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে একটি রাস্তা নিয়ে পারিবারিক অশান্তি দীর্ঘদিনের। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের অত্যাচারে সৌরভবাবু দীর্ঘদিন ঘরছাড়া। এ দিন পুলিশকে জানিয়ে ওই বিজেপি কর্মীকে বাড়ি ঢোকাতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে থানা থেকে বেরোনোর পরই তৃণমূলের লোকজন বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি নিয়ে দুই পক্ষ একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রেলের পাথর, ইট ছোড়া হয়।
মাথা ফাটে এক পুলিশ কর্মী ও বিজেপির মণ্ডল সভাপতি মনোজ সিংহের। আঙুল ভাঙে তৃণমূলের আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সরকারের। জখমদের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মনোজবাবুকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়।
বিজেপির আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘আমি আমাদের এক কর্মীকে বাড়িতে দিতে গিয়েছিলাম। তৃণমূলের লোকজন পুলিশকেও এখন ছাড়ছে না। দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ যদিও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, কয়েকশো বহিরাগত বিজেপি কর্মী হামলা চালায় এ দিন। স্টেশন লাগোয়া তাঁদের একটি পার্টি অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে বিজেপির কর্মীরা তৃণমূলের লোকজনকে মারধর করে। তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব হাসপাতালে জখম তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যান। তিনি বলেন,‘‘বিজেপি সর্বত্রই গোলমাল পাকাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার কর্মসূচি নিয়েই ওঁরা রাজ্যকে অশান্ত করার কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।’’