Chandannagar

দোকান ছেড়ে আন্দোলনের পথে ব্যবসায়ীরা

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দোকানগুলির সংস্কারের দায়িত্ব পুরসভার থাকলেও তা তারা পালন করে না। দীর্ঘ সময় দোকানগুলির সংস্কার হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:১৮
Share:

ফুটপাথে বসে বিক্ষোভে ব্যবসায়ীদের। ছবি: তাপস ঘোষ।

দোকান সংস্কার এবং কর মকুবের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন চন্দননগর স্ট্যান্ড রোড সংলগ্ন চার্চ রোডের বহু ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার দোকান বন্ধ রাখেন তাঁরা। ফুটপাতে টেবিল চেয়ার পেতে ব্যবসা করেন। তাঁদের দাবি, এক টানা লকডাউন এবং পরবর্তী সময়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে ওই এলাকাকে ‘গণ্ডিবদ্ধ’ ঘোষণা করায় তাঁদের ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় দোকান চালানোর জন্য চন্দননগর পুরসভাকে তাঁরা যে কর দেন, তা মকুব করা না-হলে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দননগর স্ট্যান্ড সংলগ্ন চার্চ রোডের দু’পাশে পুরসভা নিয়ন্ত্রিত ৩০টি দোকান রয়েছে। দোকান চালানোর জন্য ব্যবসায়ীদের কর দিতে হয় পুরসভাকে। প্রায় ২০-২২ বছর ধরে তাঁরা ব্যবসা করছেন।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দোকানগুলির সংস্কারের দায়িত্ব পুরসভার থাকলেও তা তারা পালন করে না। দীর্ঘ সময় দোকানগুলির সংস্কার হয়নি। বিদ্যুতের লাইনের সংস্কার না হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়েছে। নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল।

Advertisement

জীবেশ রাও নামে এক দোকান মালিক বলেন, ‘‘দোকান সংস্কারের জন্য বছর দেড়েক আগে পুরসভার কাছে দাবি জানানো হয়েছিল। পুরসভা আশ্বাস দিয়েও কাজ করেনি। তার পরেই লকডাউন ঘোষণা হয়। ফলে ব্যবসা মার খায়। করোনা ঠেকাতে এই এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে, ব্যবসায় আরও ক্ষতি হয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কর মকুব না-হলে ব্যবসা চালানো কঠিন হয়ে যাবে। এখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। সুরাহা না মিললে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’’ একই বক্তব্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আর এক ব্যবসায়ীর। তিনি বলেন,

‘‘পুরসভা নিয়ন্ত্রিত দোকানগুলির শ্রীবৃদ্ধি ঘটলে পর্যটকদের কাছে শহরের গুরুত্বও বাড়বে।’’

চন্দননগর পুরসভার কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement