দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে ফিরলেও বাড়ি ফেরা হল না। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জখম হয়েছেন আরও চার পরিযায়ী শ্রমিক-সহ পাঁচ’জন। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যাচ্ছে, ওই পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক চেন্নাই থেকে এ দিন সকালে খড়্গপুরে ফেরেন। তারপর ভাড়ার গাড়িতে হুগলির গোঘাটে ফিরছিলেন। তাঁদের বেশিরভাগেরই বাড়ি হুগলির ওই এলাকার আশপাশে। গাড়িতে চালক এবং ওই পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছিলেন বছর বাইশের আব্দুল করিম খান। শনিবার বিকেলে মেদিনীপুর মেডিক্যালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল বাঁকুড়ার তালডাংরার রাজপুরের বাসিন্দা। বাকি জখমেরা পরিযায়ী শ্রমিকেরা হলেন— রোহন মল্লিক, বাপন খান, রাজাবুল খান এবং রাহামাতুল্লা খান। চালকের নাম তরুণ রুইদাস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কেশপুর কলেজের অদূরে, রাজ্য সড়কের উপরেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। উল্টো দিক থেকে আসা একটি বালি বোঝাই লরির সঙ্গে ওই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে- মুচড়ে যায়। জখম হন গাড়ির ৬ জনই। স্থানীয়রাই জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, কেশপুরের স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুর রহমান বলেন, ‘‘ওই গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ওঁদের উদ্ধার করে কেশপুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে মেদিনীপুরে নিয়ে যাই।’’ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। জখমদের চিকিৎসায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা দেখা হচ্ছে।’’