—ফাইল চিত্র।
উত্তর হাওড়ার যে পাঁচটি ওয়ার্ডে ঘোলা জল খেয়ে ডায়রিয়ায় ভুগছেন স্থানীয়েরা, সেখানে শুক্রবার কল থেকে ফের পরিষ্কার জল বেরোতে শুরু করেছে। কিন্তু পুরসভার সরবরাহ করা ওই জল কী ভাবে ঘোলা হল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া পুরসভা। যে কল দিয়ে তিন দিন ধরে ঘোলাটে জল বেরোচ্ছিল, তা থেকে ফের পরিষ্কার জল কী ভাবে বেরোচ্ছে, সেই ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে।
গত কিছু দিন ধরে সালকিয়া চৌরাস্তা, মালিপাঁচঘরা, ঘুসুড়ি-সহ বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা ডায়রিয়ায় ভুগছেন। অভিযোগ, ওই ঘোলাটে লাল জল খেয়ে পেটের অসুখে ভুগছেন বাসিন্দারা। অসুস্থ হয়ে স্থানীয় সত্যবালা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। ওই হাসপাতালের সুপার সুস্মিতা দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘পুরসভার সরবরাহ করা দূষিত জল খেয়েই বাসিন্দাদের পেটের রোগ হচ্ছে। আজ পেটের রোগ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে এসেছেন। সকালে ১০-১১ জন আউটডোরে দেখিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৩২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।’’
তবে দূষিত জলের কারণেই যে স্থানীয়েরা অসুস্থ হচ্ছেন, তা নিশ্চিত করে বলতে রাজি নন পুর ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাঁদের বক্তব্য, পাইপ ফেটে নর্দমার জল মিশছে, এমন কোনও জায়গার খোঁজ ওই পাঁচটি ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তবুও ওয়ার্ডগুলির পাইপলাইন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। জল সরবরাহ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেকে বলছেন জলের দূষণ থেকে ডায়রিয়া হচ্ছে। কিন্তু এমন অকাট্য প্রমাণ এখনও মেলেনি। যাঁরা পেটের অসুখে ভুগছেন, শনিবার তাঁদের বাড়ি যাওয়া হবে। সেখানে জলে দূষণ কী ভাবে হয়েছে তা দেখা হবে।’’
হাওড়ার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ এ দিন বলেন, ‘‘আজ থেকে জলের মান ভাল হয়েছে। সরাসরি জলের দূষণ হলে এমন হওয়ার কথা নয়। মনে হচ্ছে, সালকিয়ার ভূগর্ভস্থ জলাধারে কিছু ঢুকে পড়ায় ঘোলা জল বেরোচ্ছে। তবে পুরো ব্যাপারটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’’ পুরসভা আগেই জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে। তবে সেই রিপোর্ট আসার আগে জল কী ভাবে দূষিত হল ও ফের কল থেকে পরিষ্কার জল বেরোতে শুরু করল, তা তদন্ত করে দেখতে চাইছে পুরসভা।