হাসপাতালে অর্থ সাহায্য রিয়ার। নিজস্ব চিত্র
বছর খানেক আগে শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে কাজ পেয়েছিলেন রিয়া দেঁড়ে নামে এক তরুণী। সম্প্রতি তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। আর্থিক সঙ্কটের কারণে শ্রমজীবী হাসপাতালে পুরনো সহকর্মীদের বেতন আটকে গিয়েছে শুনে এগিয়ে এলেন তিনি। নিজের প্রথম পাওয়া বেতনের একাংশ তুলে দিলেন শ্রমজীবী কর্তৃপক্ষের হাতে।
রিয়া থাকেন রাজবলহাটে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি শ্রমজীবীতে কাজে ঢোকেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতাল হয় প্রশাসনের নির্দেশে। তখন থেকে এখানে কোভিড রোগীদের সেবা করেছেন। মাস দু’য়েক আগে জাঙ্গিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে চাকরি পেয়েছেন।
শ্রমজীবী সূত্রের খবর, কোভিড চিকিৎসায় সরকারের তরফে চার কোটিরও বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন দেওয়া যায়নি। এই খবর পেয়ে সোমবার রিয়া হাসপাতালে এসে তাঁর প্রথম মাসের বেতন থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে যান।
রিয়ার কথায়, ‘‘নতুন চাকরিতে প্রথম বেতন পেলাম। আমরা এক সঙ্গে কাজ করেছি। হাসপাতালের আর্থিক সঙ্কটে সাধ্যমতো পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম।’’
রিয়ার এই দানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপ্লুত। আরও ১০ হাজার টাকা তিনি দিয়েছেন রাজবলহাট কালচারাল সার্কেল নামে একটি সংস্থায়। ওই সংস্থার তরফে বয়স্ক মানুষদের ওষুধ দেওয়া হয়। নানা শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।