ভোটারদের উৎসাহিত করতে চেষ্টার কসুর করছে না নির্বাচন কমিশন। কখনও ফুটবল, কখনও দৌড়ের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই সচেতনতার প্রচার নিয়ে ঘুম নেই কমিশনের। প্রচারকে আকর্ষণীয় করতে পোস্টার-ব্যানার লাগানো ছাড়াও আয়োজন করা হচ্ছে পথনাটিকার। জেলায় জেলায় তৈরি করা হয়েছে ম্যাসকট। কোনও জেলার ম্যাসকট ফজলি আম তো কোথাও রয়াল বেঙ্গল টাইগার। কখনও ভোটারদের কাছে গিয়ে আবার কখনও প্রশাসনিক দফতরে তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছেন কমিশনের আধিকারিকরা।
হুগলির ম্যাসকট হয়েছে শুশুক। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের তরফে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। ভোটাররা যাতে ভোটদানে উৎসাহিত হন তা নিশ্চিত করতে জেলাপ্রশাসন ঠিক কী পদক্ষেপ করছে, তা খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে এদিন পর্যবেক্ষক পঙ্কজ পাণ্ডে হুগলিতে আসেন। ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে জেলাপ্রশাসন কতটা সক্রিয় তা এদিন ঘুরে দেখেন। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, দিল্লির ওই ভোটকর্তা তাঁদের কজে খুশি।
এমনিতে হুগলিতে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোটদানে সচেতনতা বাড়াতে (সিস্টেমেটিক ভোটার্স এডুকেশন ফর ইলেকটোরাল পার্টিসিপেশন) এসভিপি-র কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে জেলার ‘ম্যাসকট’ ঠিক করতে বাড়তি কিছুটা সময় লাগে। অন্য জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়ার ম্যাসকট ছৌ-নাচ-এর নাম ‘ভোটেশ্বর’। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ম্যাসকট বাঘ। হাওড়ার বাঁটুল দি গ্রেট।
হুগলির জন্য শুশুক কেন? জেলা প্রশাসনের ব্যাখ্যা, জেলায় সাধারণত পরিচিত কোনও বস্তু বা প্রাণীকেই ম্যাসকট হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। সেই ভাবনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই শুশুকের কথা মাথায় আসে প্রশাসনের কর্তাদের। কেননা, উত্তরপাড়া থেকে বলাগড় পর্যন্ত জেলার বিস্তীর্ণ অংশ গঙ্গার পাড়ে। তা ছাড়া গঙ্গার এই এলাকায় প্রচুর শুশুক রয়েছে।
হুগলিতে প্রাথমিক ভাবে শুশুক-এর কথা ভাবা হলেও তা চূড়ান্ত হতে কিছুটা বিলম্ব হয়। কেন না, এর মাঝেই জেলাশাসক সঞ্জয় বনশলকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরে যেতে হয়। হুগলির নতুন জেলাশাসক মুক্ত আর্য মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ম্যাসকটের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে প্রচারের রূপরেখাও তৈরি।’’