Coronavirus

আরামবাগে ফিরল ভিড়  

কে বলবে দেশজুড়ে লকডাউন! আরামবাগের বেশির ভাগ জায়গাতেই তার ছাপ নেই।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৪২
Share:

অসচেতন: ভিড় ঠেকানো যাচ্ছে না। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

ফিরে এসেছে ক্রিকেট।

Advertisement

পাড়ার মাচায় আড্ডা জমছে সকাল-বিকেল।

দল বেঁধে পুকুরে মাছ ধরা চলছে।

Advertisement

বসছে মদের আসরও।

কে বলবে দেশজুড়ে লকডাউন! আরামবাগের বেশির ভাগ জায়গাতেই তার ছাপ নেই। না শহরে, না গ্রামে। লকডাউনের প্রথম পর্বে শুধু দিন দশেক কড়াকড়ি করেছিল পুলিশ প্রশাসন। তার পরে যে কে সেই! রাস্তায় রাস্তায় ভিড়। ভিড় গ্যাসের দোকানে, ব্যাঙ্কে, রেশন দোকানে, মুদিখানায়, বাজারে... কোথায় নয়!

করোনায় আতঙ্কিত বহু মানুষ অবশ্য মহকুমার এই অবস্থার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, নজরদারি না-থাকলে যা হওয়ার, তা-ই হচ্ছে।

নিচুতলার পুলিশকর্মীদের একাংশ মানছেন, লোকবল কম থাকায় ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। নজরদারিতেও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তার উপরে মানুষ সচেতনও হচ্ছেন না। ওই পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা চেষ্টার কসুর করছেন না। কিন্তু একইসঙ্গে রেশন দোকান, বাজার-হাট, গ্যাসের দোকান, ব্যাঙ্কের লাইনে ভিড় সামলানো, রাস্তায় ‘নাকা চেকিং’ করা, পাড়ার জমায়েত হটানো, খেলাধুলো বন্ধ রাখতে মাঠে চক্কর মারা সম্ভব হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার অবশ্য আরামবাগ শহরে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালায় পুলিশ।

মহকুমাশাসক (আরামবাগ) নৃপেন্দ্র সিংহও ভিড় নিয়ে চিন্তিত। তিনি বলেন, “বিষয়টা নিয়ে আমি ইতিমধ্যে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি নিজেও রোজ সন্ধ্যায় পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে বের হচ্ছি। লকডাউন লঙ্ঘন করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। স্থানীয় মানুষদের সজাগ থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁরা কোথাও অসঙ্গতি দেখলে থানায় ফোন করে জানাতে পারেন।’’ আরামবাগ শহরের হাসপাতাল রোড, রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন চত্বর, নেতাজি স্কোয়ার ইত্যাদি এলাকায় পথচারী, সাইকেল, মোটরবাইকের ভিড়ে যানজট হচ্ছে দিন চারেক ধরে। কিছু কিশোর-তরুণ দল বেঁধে সাইকেল নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চক্কর মারছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আন্দিমহল, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাজিপাড়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বারকেশ্বরের নদীবাঁধ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার ইত্যাদি এলাকাতেও ভিড় হচ্ছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আন্দিমহলের এক বাসিন্দার অভিযোগ, “এখানে মাদ্রাসা সংলগ্ন ক্ষুদিরাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গলিতে আড্ডার আসর জমিয়ে জনা ২০-২৫ ছেলে পুরো পাড়াটাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। ওরা পাড়ার ভিতরেও দল বেঁধে ঘোরাঘুরি করছে। প্রতিবাদ করলে বাড়িতে ইট ছুড়ে জানলার কাচ ভাঙছে। পুলিশ সক্রিয় হচ্ছে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement