প্রতীকী ছবি।
পড়শি দেশ থেকে উজিয়ে আসা ভাইরাস কী ভাবে নির্বংশ করা যাবে, তা নিয়ে তটস্থ প্রশাসন। সে জন্য চলছে বিজ্ঞানভিত্তিক নানা পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামো তৈরির কাজ। তার মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে গুজব। কখনও করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভুয়ো খবর, কখনও গোমূত্রের উপকারিতা নিয়ে বার্তা। এই সব গুজব ছড়ানো আটকাতে কড়া হওয়ার বার্তা দিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। কমিশনারেটের সাইবার শাখার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজর রাখছেন তাঁরা। গত কয়েক দিনে বেশ কিছু ভিত্তিহীন ‘পোস্ট’ মুছে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে বিশেষ করে ফেসবুকের উপরে আমরা নজর রাখছি। অনেক ক্ষেত্রেই এই সব ভুয়ো বার্তা ছড়ানো ফেসবুক গ্রুপের বা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও ফোন নম্বর সংগ্রহ করে সরাসরি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সতর্ক করা হচ্ছে। ভুয়ো বার্তা বা গুজব ছড়ালে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।’’
পুলিশের বক্তব্য, যে কোনও সময়েই গুজব সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। সামাজিক মাধ্যমে অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই সব পোস্ট। কখনও তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে, কখনও অন্য সামাজিক সমস্যা তৈরি করে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতেও গুজবের ফলে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে সমাজে। বহু মানুষ আছেন, যাঁরা কোনও কিছু যাচাই না করেই অন্যের পোস্ট ছড়িয়ে (ফরওয়ার্ড) দেন। এই ভাবে একটি পোস্ট হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এই সব গুজব বিশ্বাস করে মানুষের মনে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়। সেই কারণেই দায়িত্বশীল নাগরিকের উচিত, কোনও কিছু সঠিক ভাবে না জেনে বা যাচাই না করে সামাজিক মাধ্যমে কোনও পোস্ট বা মন্তব্য না করা।