প্রতীকী ছবি।
প্রথাগত অনুষ্ঠানের বাইরে আজ, শনিবার এক অন্য রকম ‘স্বাধীনতা দিবস’ দেখতে চলেছে দুই জেলা। করোনা-ধ্বস্ত সময়ে ওই অনুষ্ঠানেই করোনাজয়ীদের সংবর্ধনা দিতে চলেছে দুই জেলা প্রশাসন।
বিভিন্ন ব্লক এবং জেলা সদরে করোনা সংক্রমণের পরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এমন ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে হাওড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। গ্রামীণ জেলা পুলিশও আলাদা করে সংবর্ধনা দেবে করোনাজয়ী পুলিশকর্মী ও অফিসারদের। জানানো হয়েছে, পানিয়াড়ায় গ্রামীণ জেলা পুলিশের সদর দফতরে বিভিন্ন থানায় কর্মরত ৩০ জন পুলিশ আধিকারিক এবং পুলিশকর্মীকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তাঁরা প্যারেডেও যোগ দেবেন।
ব্লকগুলিতে কত জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা জানানো হয়নি। তবে, গড়ে প্রতি ব্লকে তিন জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এ ছাড়াও, প্রতি ব্লক থেকে একজনকে পাঠানো হবে জেলা সদরে। সেখানে তাঁদের জেলাশাসক সংবর্ধনা দেবেন।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার ‘সেফ হাউস’গুলিতে করোনা রোগীদের তত্ত্বাবধান করা, তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে সাহায্য করা প্রভৃতি কাজের জন্য কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে। তাঁদের দু’মাস কাজ করানো হবে। বেতন দেওয়া হবে মাসে ১৫ হাজার টাকা করে। হাওড়ায় অধিকাংশ ব্লকে করোনাজয়ী এবং ইচ্ছুক ব্যক্তিদেরই স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও কেউই এখনও কাজ শুরু করেননি। তাঁদের মধ্যে থেকেই ব্লক এবং জেলায় সংবর্ধনার জন্য তালিকা করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। সংবর্ধনার সময়ে ওই করোনাজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে স্মারক, ফুল এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা শংসাপত্র।
হুগলি জেলা প্রশাসনের তরফে কোভিড-যোদ্ধা এবং করোনাজয়ী মিলিয়ে ৫৭ জনকে সম্মান জানানো হবে। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে জেলা সদরে ডাকা হচ্ছে না। প্রশাসন সূত্রের খবর, সকালে চুঁচুড়ায় তাঁর দফতরের প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। ওই অনুষ্ঠানে ৬ জন কোভিড-যোদ্ধাকে সংবর্ধিত করা হবে। বাকিদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসক বা বিডিও উপহার তুলে দেবেন। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, করোনা-যোদ্ধাদের তালিকায় পুলিশকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনিক কর্মীরা রয়েছেন। আছেন চিকিৎসক, সমাজকর্মীও।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)