—প্রতীকী চিত্র।
পেশায় ঠিকাদার এক তৃণমূল নেতাকে মারধর এবং কান ধরিয়ে ওঠবোস করানোর ঘটনাকে ঘিরে দু’দিন ধরে তেতে রয়েছে সিঙ্গুরের নসিবপুর পঞ্চায়েত এলাকা। ঘটনায় বিজেপি যুক্ত, এই অভিযোগে এবং প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। মিছিলও হয়।
ওই পঞ্চায়েতের ভাণ্ডারদহের বাসিন্দা শঙ্কর সিংহ নামে ওই তৃণমূল নেতা এলাকার মানুষকে নানা ভাবে ভয় দেখান এবং প্রভাব খাটিয়ে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ করে কাটমানির একাংশ দলের নেতাদের দেন, এ অভিযোগ রয়েছে বিজেপির। তবে, মঙ্গলবার তাঁকে নিগ্রহের কথা তারা মানেনি। বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাণ্ডে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে ওই ঠিকাদারের রাজত্ব চলে। নিগ্রহের ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নন। ওটা সাধারণ মানুষের রাগের বহিঃপ্রকাশ।’’
শঙ্করের পাল্টা দাবি, ‘‘কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপির লোকজন আমাকে নিগ্রহ করল। আমি কেন কাউকে ভয় দেখাতে যাব?’’ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোবিন্দ ধাড়াও দাবি করেন, ‘‘শঙ্করের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সিঙ্গুর ব্লক জুড়ে ঠিকা কাজের সঙ্গে উনি যুক্ত। কেন অহেতুক মানুষকে ভয় দেখাতে যাবেন?’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমপান-ত্রাণে দুর্নীতির তদন্ত এবং ১০০ দিনের কাজ-সহ ৯ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার ওই পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপি। দুপুরে নসিবপুরের খালপাড় এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন শঙ্কর। অভিযোগ, স্মারকলিপি দিয়ে ফেরার পথে বিজেপি নেতাকর্মীরা তাঁকে দোকান থেকে মারতে মারতে বাইরে বের করে আনে এবং প্রকাশ্যে তাঁকে কান ধরে ওঠবোস করায়। ঘটনার জেরে পরের দিন তৃণমূলের লোকজনের হাতে তাদের এক কর্মী আক্রান্ত হন বলে বিজেপি পাল্টা অভিযোগ তুলেছে। প্রতিবাদে এ দিন থানায় বিক্ষোভ
দেখায় তারা। তৃণণূল পাল্টা মারের অভিযোগ মানেনি।
তবে, ওই এলাকায় গ্রামবাসীদের কেউ কেউ শঙ্করের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় বেশ কিছু মানুষের জন্য শৌচালয় করে দেওয়ার কথা থাকলেও ওই ঠিকাদার তা করে দেননি। অথচ, গ্রামবাসীদের টাকা দিতে হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের জব কার্ড কেড়ে নেওয়ারও হুমকি দেন ওই নেতা। শঙ্কর অভিযোগ মানেননি।