সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অটো চালকেরা

খাদিনা মোড়ে যে জায়গায় অটোগুলি দাঁড়াত, তার বেশির ভাগ জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন। বাকিটা পূর্ত দফতরের। সম্প্রতি জমির মালিক টিন দিয়ে জায়গাটি ঘিরে দেন। ফলে অটো দাঁড়াতে পারছে না। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দাঁড়ানোর জায়গা নিয়ে সমস্যার নিষ্পত্তি হয়নি। জিটি রোডের ধার ঘেঁষে অটো রেখেই চলতে শুরু করেছে খাদিনা মোড়-চাঁপদানি রুটের অটো।

Advertisement

তবে অটো চালক এবং নিত্যযাত্রীরা চাইছেন, দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন অটো চালকেরা। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে চুঁচুড়ার মহকুমাশাসককে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

খাদিনা মোড় অটোস্ট্যান্ড কমিটির সদস্যদের দাবি, বহু বছর ধরে জিটি রোডের ধারে অটো দাঁড়াত। বর্তমানে এই রুটে ৩৭টি অটো রয়েছে। খাদিনা মোড় থেকে জিটি রোড ধরে চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর হয়ে চাঁপদানি পর্যন্ত অটো চলে। খাদিনা মোড়ে যে জায়গায় অটোগুলি দাঁড়াত, তার বেশির ভাগ জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন। বাকিটা পূর্ত দফতরের। সম্প্রতি জমির মালিক টিন দিয়ে জায়গাটি ঘিরে দেন। ফলে অটো দাঁড়াতে পারছে না।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে কার্যত জিটি রোডের উপরেই অটোগুলি দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। ফলে, দাঁড়ানোর জায়গা না থাকায় অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

অটো চালকেরা জানান, ইতিমধ্যে বিএলএলআরও (চুঁচুড়া-মগরা) দফতরের তরফে এক দফা মাপজোক করা হয়। কিন্তু কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। গত মঙ্গলবার অটো চালকেরা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। সেখান থেকে নির্দেশ পেয়ে মহকুমাশাসকের দফতরের তরফে নড়াচড়া শুরু হয়। সমস্যা মেটেনি।

এই অবস্থায় ফের রাস্তায় অটো দাঁড় করাতে শুরু করেছে‌ন চালকেরা। ওই রুটের অটো চালক সুব্রত দাস বলেন, ‘‘যেটুকু জানি, তাতে পূর্ত দফতরের কিছুটা জমি ঘেরা অংশে ঢুকেছে। প্রশাসন মাপলেই সব পরিষ্কার হবে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমাদের পেট চালাতে সমস্যা হচ্ছে। নিত্যযাত্রীরাও হয়রান হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে কয়েক জন রাস্তায় অটো দাঁড় করিয়ে চালাতে শুরু করেছেন। সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হোক।’’

বিএলএলআরও নিবেদিতা বসু জানান, ওই জমি মাপজোকের প্রক্রিয়া চলছে। দফতরের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসর ওখানে যাবেন। দিন কয়েকের মধ্যেই চূড়ান্ত মাপ হয়ে যাবে। মহকুমাশাসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘‘পূর্ত এবং বিএলএলআরও দফতরকে জমি জরিপ করতে বলা হয়েছে। আশা করছি, দু’এক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাব। তার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement