—প্রতীকী ছবি
গত নির্বাচনে প্রার্থীই দিতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল। এ বার নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেও তৃণমূলকে ফিরতে হল শূন্য হাতে। ডানকুনির শ্রীরামকৃষ্ণ শিশুতীর্থ হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি ভোটে ভরাডুবি হল তৃণমূলের। রবিবার হওয়া নির্বাচনে সমিতির ছ’টি আসনই দখল করেছে বাম-কংগ্রেস জোট। ২০১৭ সালে ভোটে একা লড়ে বামেরা ছ’টি আসনে জিতেছিল। সে বার প্রার্থীই দিতে পারেনি তৃণমূল। এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বামেরা জিতেছে পাঁচটি আসনে। ষষ্ঠ আসনে জয় পেয়েছেন কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী। জোটপ্রার্থীরা প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
ডানকুনি টাউন যুব সভাপতি শম্ভু সাউয়ের বক্তব্য, তাঁরা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। অভিভাবকদের একাংশ অরাজনৈতিক জোট করে যাঁদের প্রার্থী করেছিলেন, তাঁদেরই সমর্থন করেছিল তৃণমূল। দলীয় ভাবে ভোটের প্রচারও হয়নি।
পরাজিত তৃণমূল সমর্থিত অরাজনৈতিক জোটের প্রার্থী লালমোহন ঘোষের অভিযোগ, ‘‘বিদ্যালয়ের উন্নতির নামে দুর্নীতি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের একাংশ জোটবদ্ধ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।’’ বাম-কংগ্রেস জোটের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে স্বরূপ অধিকারীর দাবি, ‘‘ভোটে হেরে এখন ভুল বকছে তৃণমূল। স্কুলের উন্নয়ন যে হয়েছে, এই রায় তারই প্রতিফলন।’’
ডানকুনি পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলভোটে পরাজয় দিয়েই তৃণমূল সরকারের পতন শুরু হল।’’