চাকরি গেল হাওড়ার ৪১৯ জন অস্থায়ী পুরকর্মীর

গত বছরের ১ অক্টোবর ৪১৯ জন বেকার যুবক-যুবতীকে চুক্তির ভিত্তিতে অস্থায়ী ভাবে কাজে নেন প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

নিয়োগের পদ্ধতিতে ত্রুটি আছে বলে জানালেও হাওড়া পুরসভার ৪১৯ জন অস্থায়ী কর্মীর ভবিষ্যৎ তিনি নিজে দেখবেন বলে হাওড়ার প্রশাসনিক সভায় আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সোমবার ওই ৪১৯ জনকে চাকরি থেকে বসিয়ে দিল হাওড়া পুরসভা। এ দিন পুরসভার বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের চিঠি দিয়ে পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ জানিয়ে দেন, রাজ্য পুর দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওই ৪১৯ জনের চুক্তি ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে যাওয়ায় পুরসভা নিজের তহবিল থেকে আর তাঁদের বেতন দেবে না। কাউকে চাকরিতে নিতে গেলে রাজ্য পুর দফতরের অনুমতি নিতে হবে।

Advertisement

গত বছরের ১ অক্টোবর ৪১৯ জন বেকার যুবক-যুবতীকে চুক্তির ভিত্তিতে অস্থায়ী ভাবে কাজে নেন প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। তাঁদের পুরসভার প্যাডে নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়। কিন্তু গত ডিসেম্বরে পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পুরসভার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুর কমিশনারের হাতে। এর পরেই ৪১৯ জনের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের বেতন। বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ওই কর্মীরা। আট মাস বেতন আটকে থাকার পরে শেষ চার মাসের বেতন পেয়েছেন তাঁরা। এ দিন বিভিন্ন দফতরের প্রধান ও বরো অফিসের প্রধানদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ৪১৯ জনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই তাঁদের আর কোনও কাজ দেওয়া যাবে না।

পুর কমিশনার বলেন, ‘‘গত ৩০ সেপ্টেম্বর চু্ক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সরকারের নির্দেশ মেনেই এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। যে হেতু গত ২ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ছুটি ছিল, তাই এ দিন জানানো হল।’’ এ দিকে, চাকরি চলে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুরসভায় এসে জড়ো হন অস্থায়ী কর্মীরা। খবর পেয়ে পুরসভায় আসেন তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার অফিসারদের একাংশের অসহযোগিতার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ভাবে চিঠি দিয়ে কারও চাকরি খাওয়া যায় না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement