Wellington Jute Mill

ওয়েলিংটন খোলা নিয়ে বৈঠক, আশায় শ্রমিকেরা

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সহকারী শ্রম কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত এবং শ্রীরামপুরের যুগ্ম শ্রম কমিশনার ত্রিদিবেশ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

প্রকাশ পাল

রিষড়া শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:০৩
Share:

ওয়েলিংটন জুটমিল। নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ রিষড়ার ওয়েলিংটন জুট মিলে। প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়ে এই জুট মিলের তালা ফের খোলার অবস্থায় এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষের দাবি। ওই মিল খোলা নিয়ে শুক্রবার কলকাতায় শ্রম দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত মিল খোলার সিদ্ধান্ত এ দিন হয়নি। তবে শ্রম দফতরের আধিকারিকদের আশা, দিন কয়েকের মধ্যেই ‘সুখবর’ শুনবে এখানকার শ্রমিক মহল্লা। একই কথা বলছেন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।

Advertisement

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সহকারী শ্রম কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত এবং শ্রীরামপুরের যুগ্ম শ্রম কমিশনার ত্রিদিবেশ চট্টোপাধ্যায়। মালিকপক্ষের তরফে একাধিক আধিকারিক প্রতিনিধিত্ব করেন। সিআইটিইউ নেতা সুমঙ্গল সিংহ, মিলের শ্রমিক তথা এআইটিইউসি নেতা ভোলানাথ কর্মকার, আইএনটিইউসি নেতা প্রবীর অধিকারী প্রমুখও ছিলেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে মালিকপক্ষের তরফে মিলে ২০১৬ সালে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী মিল খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এআইটিইউসি অনুমোদিত ফেডেরাল চটকল মজদুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক প্রাণেশ বিশ্বাস বলেন, গত ৩ জানুয়ারি রাজ্যের সমস্ত চটকল নিয়ে সার্বিক ভাবেই ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। ফলে, এ ক্ষেত্রেও ওই চুক্তি মেনে মিল খোলা উচিত।

শ্রম দফতরের তরফেও বলা হয়, গত জানুয়ারি মাসের চুক্তি অনুযায়ী যেন মিল খোলার প্রস্তাব দেন কর্তৃপক্ষ। শ্রমকর্তা আরও অনুরোধ করেন, আগামী পয়লা মার্চেরমধ্যে যাতে মিল চালু করা যায়, সেই মতো ভেবে তাঁরা যেন দ্রুত প্রস্তাব দেন। শ্রমিক সংগঠনের তরফে অনুরোধ করা হয়, মাস্টার রোলে নাম থাকা সব শ্রমিক যাতে কাজ পান, তা যেন নিশ্চিত করা হয়। শ্রমিক-নেতাদের দাবি, ধাপে ধাপে সব শ্রমিককে কাজে নেওয়া হবে বলে মালিকপক্ষ আশ্বাস দেন।

Advertisement

প্রাণেশ বলেন, ‘‘মিল খোলার ব্যাপারে একটা জায়গা তৈরি হয়েছে।’’ সুমঙ্গল বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, ২০১৬ সালের হিসাবে উৎপাদন-উৎপাদনশীলতা (প্রোডাকশন-প্রোডাক্টিভিটি) এবং মজুরি, নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে গত জানুয়ারি মাসের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি কার্যকর করে মিল খোলা হোক। মালিকপক্ষ সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন। আশা করছি, আগামী সপ্তাহেই মিল খুলবে।’’

আর্থিক সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ নোটিস ঝোলান কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের অভিযোগ, মাঝে এক বার উৎপাদন চালুর সিদ্ধান্ত হলেও কার্যকর করা হয়নি। এই অবস্থায় শ্রমিকেরা বিপাকে পড়েন। সংসার চালাতে অনেকে ছোটখাটো কাজ খুঁজে নেন। মিল খোলার দাবিতে বিভিন্নসময়ে আন্দোলনে নামে শ্রমিক সংগঠনগুলি। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আশা, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই মিলে শ্রমিকের হাতে কাজ ফেরা কয়েক দিনের অপেক্ষা।

আশায় বুক বাঁধছে শ্রমিক মহল্লাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement