Santanu Banerjee

সিমকার্ডের দোকান থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া, কোন পথে ‘উত্থান’ যুবনেতা শান্তনুর?

কলেজে পড়ার সময় থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি শান্তনুর। তার পর ধাপে ধাপে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তাঁর পরিচিতদের দাবি, ২০১৮-য় জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ার পর থেকেই ফুলেফেঁপে ওঠেন শান্তনু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৩ ২২:৩১
Share:

কী ভাবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে গেল নিয়োগ দুর্নীতিতে? — ফাইল ছবি।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ডেকে পাঠায় হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ ইডির দফতরে ঢুকেছিলেন শান্তনু। তার পরে থেকে টানা জেরা।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়। তাপসকে জেরা করেই প্রথম উঠে আসে শান্তনুর নাম। কে এই শান্তনু? কোন পথে উত্থান হুগলির এই যুবনেতার? কী ভাবেই বা তাঁর নাম জড়িয়ে গেল নিয়োগ দুর্নীতিতে?

রাজনীতিতে রকেট গতিতে উত্থান শান্তনুর। — ফাইল ছবি।

২০০৫-০৬ সাল নাগাদ জিরাট বাসস্ট্যান্ডের কাছে এনজি ঘোষ মার্কেটে মোবাইলের সিমকার্ড আর কসমেটিক্স সামগ্রী বিক্রি করার দোকান দিয়ে ব্যবসায় হাতেখড়ি। শান্তনুর বাবা বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর বিদ্যুৎ দফতরের চাকরিটি পান শান্তনু। জিরাটের বিজয়কৃষ্ণ কলেজে পড়াশোনা শান্তনুর। সেখানেই শুরু রাজনীতি। জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান। তার পর ক্রমশ ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্রনেতা হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন। রাজনীতির ফাঁকে নাটকও করতেন শান্তনু। শান্তনুর দাবি, সেই সুবাদেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় এবং পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠতা। শান্তনুকে তৃণমূল যুবার হুগলি জেলা সভাপতিও করা হয়েছিল। যুবা যখন যুব তৃণমূলের সঙ্গে মিশে যায় তখন হুগলি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব পান শান্তনু। জনশ্রুতি, তাঁর আমলেই আরামবাগ, পুরশুড়ায় তাঁর যুব সংগঠনের সঙ্গে তৃণমূলের সংগঠনের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। পরে যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতিও হন তিনি। যুব নেতা হিসাবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ কয়েকটি জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালে তারকেশ্বর থেকে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য হন। সেই সময় থেকেই তাঁর অবস্থা বদলে যায় বলে দাবি পরিচিতদের একাংশের। বর্তমানে তিনি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করছেন।

Advertisement

এ তো গেল রাজনীতির কথা। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা, বাণিজ্যেও রকেট গতিতে উত্থান শান্তনুর। জিরাটে এসটিকেকে রোডের পাশে ‘দ্য স্পুন’ নামে একটি ধাবা রয়েছে তাঁর। চুঁচুড়া, চন্দননগরে কয়েকটি ফ্ল্যাটও আছে শান্তনুর বলে দাবি।

স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও শান্তনুর একটি ছেলে রয়েছে। এছাড়া শান্তনুর এক দিদিও রয়েছেন। তিনি বিবাহিত। থাকেন হুগলি জেলাতেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement