প্রতীকী ছবি।
এখনই ভোট হচ্ছে না বালি পুরসভায়। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জানুয়ারি এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি দু’দফায় রাজ্যের বকেয়া ১১৩টি পুরসভার ভোট করা কথা ছিল। ইতিমধ্যেই সে কথা রাজ্য সরকার এবং কমিশনের তরফে কলকাতা হাই কোর্টকে জানানো হয়েছে। বালি পুরসভাও রয়েছে সেই ‘বকেয়া’ তালিকায়।
কিন্তু পুরভোটের বিধি মেনে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বালিতে নির্বাচন সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, আগামী বুধবার (৫ জানুয়ারি) বালি পুরসভার ওয়ার্ড-ভিত্তিক সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরভোটের বিধি অনুযায়ী, মহিলা, তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতির প্রার্থীদের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের অন্তত ১০ সপ্তাহ পরে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব। তার আগে প্রকাশ করতে হবে ওয়ার্ড ভিত্তিক সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা। ভোটগ্রহণের অন্তত ৪৯ দিন আগে ওই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা প্রয়োজন।
বালি পুরসভায় ৩১ ডিসেম্বর ডিলিমিটেশন হয়েছে। ১ জানুয়ারি ওয়ার্ড-ভিত্তিক সংরক্ষণের আদেশনামা জারি হয়েছে। ৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে ভোট করা পুরভোটের বিধি মেনে সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম দফার মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ই হাওড়া পুরসভার (কর্পোরেশন) সঙ্গে সংযুক্তি ঘটানো হয়েছিল ১৩২ বছরের বালি পুরসভার। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বালি এবং হাওড়া পুরসভার সংযুক্তিকরণ হয়েছিল। বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডকে পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ায় ১৬টি ওয়ার্ডে নামিয়ে আনা হয়। ওই ওয়ার্ডগুলিতে আলাদ করে উপনির্বাচনও হয়। কিন্তু গত বছর নভেম্বর মাসে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয় হাওড়া ও বালি পুরসভাকে আলাদা করার ‘দ্য হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল ২০২১’। বিল বিধানসভায় পাশ হলেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ওই বিলে সই না করায় কলকাতা ও হাওড়ায় একসঙ্গে পুরভোট করানো যায়নি বলে এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল।