এই হোর্ডিং পড়ে গিয়েই ঘটে দুর্ঘটনা। —নিজস্ব চিত্র।
হুগলির চুঁচুড়ায় জিটি রোডের উপর মোনোপোল হোর্ডিং গেট (হোর্ডিংয়ের ঝোলানো কাঠামো) তৈরির সময় দুর্ঘটনা। অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা হল দু’জনের। যদিও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন। অফিসের ব্যস্ত সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটায় আরও অনেক বেশি মানুষ জখম হতে পারতেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে চুঁচুড়ার সুকান্তনগরে অনুকূল চন্দ্র স্কুলের সামনে জিটি রোডের উপর মোনোপোল হোর্ডিং গেট তৈরির কাজ চলছিল। বড় লোহার খাঁচা উপরে তোলা হচ্ছিল হাইড্রা মেশিনের কপিকল দিয়ে। এই কাজ চলার সময়ে সকাল ৮টা নাগাদ হঠাৎ লোহার দড়ি ছিঁড়ে পড়ে। সেই সময় রাস্তা ধরে যাওয়া একটি চলমান গাড়ির উপরে পড়ে যায় লোহার হোর্ডিং কাঠামোটি। অল্পের জন্য রক্ষা পান গাড়ির চালক এবং এক আরোহী। আহত হন নির্মাণকারী সংস্থার দুই কর্মী।
সেই সময় জিটি রোডে গাড়ির আনাগোনা আরও বেড়েছে। সামনেই একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম এবং একটি সরকারি স্কুল। পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার পুলকার ছাড়াও রাস্তায় অন্যান্য গাড়ির ভিড়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ন্যূনতম নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ চলছিল। ব্যান্ডেল থেকে একটি মারুতি গাড়ি কলকাতার উদ্দেশে যাচ্ছিল। সেই গাড়ির উপরেই ভেঙে পড়ে হোর্ডিংয়ের লোহার খাঁচা। সংস্থার দুই কর্মী উপর থেকে নীচে পড়ে গিয়ে আহত হন। মারুতি গাড়িটির যাত্রী অনুরাগী সিংহ গহলৌত বলেন, “চলন্ত গাড়ির উপরে হঠাৎ ভেঙে পড়ে লোহার খাঁচা। কপাল ভাল যে বেঁচে গিয়েছি।”
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। আহত দু’জনকে ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। জিটি রোডের ওই অংশে বেশ কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়। চন্দননগর পুলিশের ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টর মান্দাতা সাউ গিয়ে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
শিয়ালদহের একটি ঠিকাদার সংস্থা এই হোর্ডিং গেট তৈরির কাজ করছিল বলে জানা গিয়েছে। ব্যস্ত সময়ে এই কাজ করা হলেও ট্র্যাফিক পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি পুলিশের। কেন সকালের ব্যস্ত সময়ে এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ চলছিল, কেন কোনও রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি, কেনই বা ট্র্যাফিক পুলিশকে কাজের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি, সেগুলি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।