স্থানীয়দের অভিযোগ শুনছেন অসিত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
জনসংযোগের দ্বিতীয় দিনেও ক্ষোভের মুখে পড়লেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিধায়ককে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়েরা। কারও অভিযোগ, আবাসে নাম না-ওঠা নিয়ে। রাস্তা ও পানীয় জলের সমস্যা নিয়েও অনেকে অভিযোগ করেছেন বিধায়কের কাছে।
গত লোকসভা ভোটে হুগলিতে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সাংসদ হয়েছেন তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিধানসভা ধরে ধরে ভোট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিন কেন্দ্র— চুঁচুড়া, বলাগড় এবং সপ্তগ্রামে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শুধু চুঁচুড়াতেই বিজেপির কাছে প্রায় সাড়ে আট হাজার ভোটে হেরেছে দল। কেন ফল খারাপ হল? এত সরকারি প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও কেন ভোটাররা মুখ ফেরালেন? সেই সব কারণ অনুসন্ধানে দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে শাসকদল। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরাসরি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাবেন বিধায়কেরা। শুনবেন, মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা।
সেই মতোই বুধবার ‘দুয়ারে বিধায়ক’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের দেবীপুরে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অসিত। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও একই ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার অসিত গিয়েছিলেন কোদালিয়ার সিংহীবাগান এলাকায়। সেখানে গিয়ে তাঁকে ভোটারদের কাছে শুনতে হল, এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাননি অনেকে। ত্রিপল দিয়ে ঘেরা মাটির ভাঙা ঘরে বসবাস করেও আবাসে নাম ওঠেনি। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যেরা বিজেপির লোক। তাই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সেখানে কাজ করেনি। কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সুকান্ত ঘোষকে ঘিরেও নতুনপাড়ায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। বিধায়কও এলাকায় আসেন না বলে অভিযোগ তাঁদের।
এলাকায় ঘোরার পর বিধায়ক বলেন, ‘‘যোগাযোগের অভাব ছিল। মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেই দূরত্ব কমাতে এই জনসংযোগ। মানুষের সমস্যা আছে। একা পঞ্চায়েত বা বিধায়কের পক্ষে এত কিছু করা সম্ভব না। আমি যতটা সম্ভব করব। বাকিটা সাংসদকে বলব। জেলা পরিষদকেও বলব। যাঁরা আবাসে বাড়ি পাননি, তাঁদের নাম লিখে নিয়ে যাচ্ছি। বিডিওকে কিছু নাম দিয়েছি। জলের সমস্যা মেটাতে পাম্প বসানো হবে।’’