রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নিশানা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। — ফাইল চিত্র
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র নারদ তদন্তে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়ে ফের এক বার তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের তিনি ধনখড়কে ‘রক্তচোষা’ বলে আক্রমণ করেছেন। রাজ্যপাল ‘সংবিধানের কসাই’ বলেও আখ্যা কল্যাণের। একই সঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্যে র বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের করে রাখার জন্যও জন সাধারণকে ‘অনুরোধ’ করেছেন কল্যাণ।
নারদ তদন্তে তৃণমূলের নেতা এবং মন্ত্রী-সহ মোট ৪ জনের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ টেনে রবিবার কল্যাণ অভিযোগ করেন, ‘‘রাজ্যপাল নিজে গ্রেফতার করিয়েছেন। ২০২১-এ সিবিআই অনুমোদন চাওয়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে দরবার করে। আইন তো বলে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে যেতে। এ নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে। তাতে যা সিদ্ধান্ত হবে তাতে রাজ্যপাল সহমত হতেও পারেন, আবার নাও পারেন। কিন্তু সিবিআই কী ভাবে সরাসরি রাজ্যপালের কাছে যেতে পারে?’’ কল্যাণের ব্যাখ্যা, ‘‘রাজ্যপাল ওদের ডেকে নিয়েছেন। রাজ্যপাল ৭ মে সিবিআইকে অনুমোদন দিয়েছেন। এটা এ ভাবে হয় না। এটা ছেলেখেলা নয়। রাজ্যপালের পাগলামি করার বিষয় নয়।’’
এই সূত্রেই ধনখড়কে নিশানা করে কল্যাণের তোপ, ‘‘রাজ্যপাল সকাল থেকে সন্ধ্যা তৃণমূলের পিছনে লেগে রয়েছেন। তিনি একটা রক্তচোষা। তদন্ত হলে, রাজ্যপালের মোবাইল, ফোন এবং ওঁর আধিকারিকদের ফোন ঘাঁটলে বোঝা যাবে উনি কী ভাবে ওই ঘটনা সংগঠিত করেছেন। এখন রাজ্যপাল আরও বেশি প্রভাব খাটানোর চেষ্টায় নেমে পড়েছেন। পারবেন না। রাজ্যপালের এমন পদক্ষেপ অসাংবিধানিক তো বটেই অভূতপূর্বও বটে। তিনি ভারতীয় সংবিধানের কসাই।’’ এর পরই অনুরোধের সুরে কল্যাণের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘সকলে থানায় থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রাখুন। যে দিন উনি রাজ্যপাল থাকবেন না, সে দিন মামলা শুরু করা যাবে আবার। তখন আবার এই অভিযোগ দায়ের করে, রাজ্যপালকে এই প্রেসিডেন্সি জেলেই ঢোকানো যেতে পারে।’’
কল্যাণের অভিযোগ নিয়ে সরব পদ্মশিবির। বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। তাঁর কথায় কোনও গুরুত্বই দিচ্ছি না। উনি মামলা করতেই পারেন। কিন্তু রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ভাবে কোনও মামলা করা যায় না।’’ ভাস্করের ব্যাখ্যা, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে রাজ্যপাল উপযুক্ত পদক্ষেপ করাতেই তিনি এখন তৃণমূলের চক্ষুশূল হয়ে পড়েছেন।