ইয়াস-এর মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর। ছবি সৌজন্য টুইটার।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর মোকাবিলায় প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখার জন্য রবিবার একটি বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ), টেলিকম, বিদ্যুৎ, অসামরিক বিমান পরিবহণ এবং ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা হাজির ছিলেন। কী ভাবে ইয়াস-এর মোকাবিলা করতে হবে, এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তা সবিস্তারে পর্যালোচনা করা হয়।
যত দ্রুত সম্ভব মানুষের কাছে গিয়ে ঝড় সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেওয়া, বিপর্যয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো, সময়মতো মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ বিপর্যয় রোখার মতো বেশ কয়েক দফা পদক্ষেপের কথা উঠে এসেছে এই বৈঠকে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, আর কী কী করা উচিত নয় তা সেই বার্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। যেখানে ঝড়ের প্রকোপ পড়তে পারে সেই সব জায়গায় স্থানীয় ভাষার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
রবিবারই পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার তা পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে ওড়িশা এবং বাংলাদেশেও। গত ১৭ মে ঘূর্ণিঝড় টাউটে-র তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ইয়াস-এর চোখরাঙানিতে তাই আগেভাগেই বিপর্যয় মোকাবিলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায়। প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌবাহিনী। ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা শনিবারই ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি-র সঙ্গে ইয়াস-এর মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন।