—নিজস্ব চিত্র।
দু’জন অ্যানাস্থেটিস্ট কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় মঙ্গলবারই প্রসূতিদের শল্যচিকিৎসা বন্ধ হয়েছিল তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। তার পরও জরুরি ভিত্তিতে অন্য হাসপাতাল থেকে অ্যানাস্থেটিস্ট এক প্রসূতির সিজার করানো হল। ওই প্রসূতির অন্য হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য না থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা দেখে অত্যন্ত খুশি প্রসূতির পরিবার।
মঙ্গলবার তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ওই প্রসূতির প্রসব করানোর কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন হাসপাতালের দু’জন অ্যানাস্থেটিস্টের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রসূতিদের সিজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তের পর প্রসূতির পরিবার জানায়, তাঁদের পক্ষে অন্য হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। তার পরেই সিঙ্গুর হাসপাতাল থেকে এক জন অ্যানাস্থেটিস্টকে নিয়ে এসে ওই প্রসূতির প্রসব করানো হয়।
স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস কুমার দাস বলেন, ‘‘জরুরি ভিত্তিতে ওই প্রসূতির চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। ওঁর পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা মাথায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মা ও শিশু দু’জনেই সুস্থ আছে।’’