এই ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর কুকুর তাড়ানোর জন্য তৎপরতা বেড়েছে হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতালে শয্যায় শুয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্থ শ্রমিক। কিছু ক্ষণ আগে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকেরা। ওই রোগীর শরীর থেকে পড়া রক্ত চেটে খাচ্ছে একটি পথকুকুর। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ায় শোরগোল জেলার স্বাস্থ্য মহলে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা।
মঙ্গলবার চন্দননগর বড়বাজারে একটি মাল্টিপ্লেক্সে ‘ক্যাপসুল লিফট’-এ কাজ করার সময় পা ফস্কে তিন তলা থেকে পড়ে যান এক শ্রমিক। নিচে পড়ে তাঁর মাথায় লোহার পাইপের আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ওই শ্রমিককে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ছিলেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে একটি ট্রলিতে। সেখানেই তাঁকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ দেহ পড়েছিল। সেই সময় তাঁর শরীর থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত মেঝে থেকে চেটে খাচ্ছিল একটি পথকুকুর। কী ভাবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কুকুর ঢুকে পড়ে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও। এ নিয়ে চন্দননগরের বিজেপি সভাপতি গোপাল চৌবে অভিযোগ করেন, ‘‘চন্দননগর হাসপাতাল এখন শ্মশানে পরিণত হয়েছে। এর আগেও এই রকমের অনেক ঘটনা হয়েছে। কুকুর হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে। কেউ দেখার নেই। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা দেখেন না।’’
যদিও এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার ধ্যানব্রত মণ্ড কোনও কিছু বলতে চাননি। তবে এই বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই কুকুর তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভূঁইয়া এ নিয়ে বলেন, ‘‘কী হয়েছে জেনে আমি বলতে পারব। আমার মনিটরিং অফিসার আছেন। তাঁর কাছে বিষয়টি জানব। কী হয়েছে না জেনে কিছু বলব না।’’