—ফাইল চিত্র
রোড-শো করতে আগামী ৩১ জানুয়ারি উলুবেড়িয়ায় আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে, এখানে তাঁর কোনও জনসভার কর্মসূচি নেই বলে হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) বিজেপি সূত্রের খবর। এই কর্মসূচিকে ঘিরে জেলা বিজেপির তৎপরতাতুঙ্গে উঠেছে।
জেলা (গ্রামীণ) বিজেপি সভাপতি প্রত্যুষ মণ্ডল বলেন, ‘‘কোনও সভার পরিকল্পনা নেই। তবে রোড শো-র আগে বা পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি নিজে থেকে বক্তৃতা করতে চান সেটা আলাদা ব্যাপার।’’ উলুবেড়িয়ায় কোনও যোগদান কর্মসূচিও নেই বলেও প্রত্যুষবাবু জানান।
জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, ওই দিন অমিত শাহ প্রথমে আসবেন হাওড়া শহরে। সেখানে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে তাঁর সভা হওয়ার কথা। সেই সভায় তৃণমূলের অনেকে তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তাঁরা সবাই হাওড়া শহর এলাকার নেতা। এ ছাড়া হুগলি থেকেও একাধিক তৃণমূল নেতা ওইদিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে গেরুয়া শিবিরের দাবি।
ডুমুরজলার সভা শেষে অমিত শাহ হেলিকপ্টারে আসবেন উলুবেড়িয়ায়। এখানে এক দলিত পরিবারে তিনি মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। তবে কার বাড়িতে ওই আয়োজন হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জেলা (গ্রামীণ) বিজেপি নেতারা জনিয়েছেন। মধ্যাহ্নভোজের পরে, বেলা ৩টে থেকে রোড-শো। বিজেপি নেতারা জানান, প্রথমে ঠিক হয়েছিল গঙ্গারামপুর থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রোড-শো হবে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পুলিশ এত দীর্ঘপথে ওই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি। সেই কারণে পুরসভা ভবন থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটারে রোড-শো হবে। বিজেপির এই কর্মসূচিকে বিঁধতে ছাড়ছে না রাজ্যের শাসক দল। তারাও পাল্টা রোড-শো’র পরিকল্পনা করেছে। জেলা (গ্রামীণ) তৃণমূল সভাপতি তথা উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায় বলেন, ‘‘উলুবেড়িয়ায় কোনও যোগদান কর্মসূচি নেই। অথচ অমিত শাহ নিজে এখানে রোড-শো করতে আসছেন। এর অর্থ, এই এলাকায় বিজেপি সাংগঠনিক দিক থেকে এতটাই দুর্বল যে তাঁর মতো জাতীয় পর্যায়ের একজন নেতাকে এনে দলের ভাবমূর্তি চাঙ্গা করতে হচ্ছে। অমিত শাহের রোড শো’র পরের দিনই তৃণমূলওরোড-শো করবে।’’