কল্যাণ ঘোষের নামে পোস্টার। ছবি সংগৃহীত।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই পোস্টার রাজনীতি ঘিরে উত্তাপ ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ে। এ বার খোদ হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষকে ‘চোর’ ও ‘তোলাবাজ’ বলে উল্লেখ করে তাঁরই নির্বাচনী কেন্দ্র ডোমজুড়ের বিভিন্ন জায়াগায় মঙ্গলবার পোস্টার, ফেস্টুন টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ফেস্টুন-পোস্টারের নীচে ‘তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ লেখা থাকায় চাপানউতোর শুরু হয় শাসকদলের অন্দরেও।
বুধবার সকালে নজরে আসার পরই পোস্টার ও ফেস্টুনগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বিজেপি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই ধরনের পোস্টার-ফেস্টুন ডোমজুড়ে নতুন নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকার তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এ সব প্রায়ই হতো। কিন্তু রাজীব বর্তমানে তৃণমূলে। তার পরেও এই ঘটনা ফের ঘটায় এলাকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ জানায়, বিধায়কের নির্বাচিনী কেন্দ্র সলপ বাজার ও ডাঁসি এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিরঅভিযোগ তুলে প্রচুর ফ্লেক্স টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনা নিয়ে জেলা সদর সভাপতি কল্যাণকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ‘অপপ্রচারের’ দায় বিজেপির ওপর চাপিয়েছেন। তৃণমূলের ডোমজুড় ব্লক সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, “এই পোস্টার বিজেপি লাগিয়েছে। একটা সময় তৃণমূলকে সামনে রেখে যারা সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল, এখন সেই সুযোগসুবিধা পাচ্ছে না বলে গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তৃণমূলের কর্মীদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
এ ব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতি মণিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজেপি কোন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কুৎসায় বিশ্বাসী নয়। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করে। তৃণমূলের কোন ব্যক্তিকেচোর বলার অর্থ নেই। কারণ গোটা দলটাই চোর।’’
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় অবশ্য ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের কিছু কর্মী এক সময় বিজেপিতে চলে গিয়েছিল। তাঁরাই দলকে বদনাম করতে বিজেপির নির্দেশে একাজ করেছে।’’