Coronavirus in West Bengal

তুঙ্গে চাহিদা, জামাকাপড় ছেড়ে মাস্ক, পিপিই তৈরিতে ব্যস্ত ডোমজুড়ের কারিগররা

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় মাস্ক এবং পিপিই কিটের ব্যবসা এখন ফুলেফেঁপে উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২১ ২৩:৫৭
Share:

মাস্ক এবং পিপিই কিট তৈরির ব্যস্ততা কারখানায়। নিজস্ব চিত্র।

গত লকডাউন পর্ব থেকেই রেডিমেড জামাকাপড় তৈরির ব্যবসায় মন্দা। বিকল্প হিসাবে তাই কারিগররা ঝুঁকেছেন মাস্ক এবং পিপিই কিট তৈরির দিকে। এমনই ছবি হাওড়ার ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি এলাকার।

Advertisement

করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সমানুপাতিক হারে বাড়ছে মাস্ক এবং পিপিই কিটের চাহিদা। তাই অঙ্কুরহাটির বহু কারিগরই প্রথাগত জামাকাপড়ের ব্যবসা বন্ধ করে, এখন তৈরি করছেন মাস্ক এবং পিপিই কিট। দেশব্যাপী লকডাউনের সময় থেকেই এই ব্যবসায় মন দিয়েছিলেন অনেকে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় মাস্ক এবং পিপিই কিটের ব্যবসা এখন ফুলেফেঁপে উঠেছে। তাই দিনরাত ভুলে চলছে করোনা-যোদ্ধাদের ‘ঢাল-তলোয়ার’ নির্মাণ।

আগে জামাকাপড়ের ব্যবস্থা ছিল হাজি আকবর আলির। সে সব ছেড়ে এখন মাস্ক এবং পিপিই কিট-ই তৈরি করছেন। তিনি বললেন, ‘‘করোনার প্রকোপ বাড়ায়, গত বছর থেকে এ সব তৈরির কাজ শুরু করেছি। গত বছরের শেষ দিকে চাহিদা কিছুটা কম ছিল। কিন্তু গত একমাস ধরে বিপুল চাহিদা। যে পরিমাণ কাজের বরাত রয়েছে তার তুলনায় কারিগর কম।’’

Advertisement

চাহিদা বৃদ্ধির কথা বলছেন অঙ্কুরহাটির কারিগর নাসিমউদ্দিন মণ্ডলও। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি দিন এক জন কারিগর ১০০-র বেশি কিট তৈরি করছেন। সেই কিট চলে যাচ্ছে রাজ্যে এবং রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে। এ রাজ্য ছাড়াও ওড়িশা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতেও যাচ্ছে এ সব।’’

অবশ্য বিষয়টিকে শুধু মাত্র মুনাফা হিসাবে দেখতে নারাজ ব্যবসায়ী থেকে কারিগর সকলেই। হাজির মতে, ‘‘অতিমারি পরিস্থিতিতে এমন কাজ করে আমরা সামাজিক দায়িত্বই পালন করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement