আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতদের। নিজস্ব চিত্র
জেলে বসেই সঙ্গীদের দিয়ে তোলাবাজি চালাচ্ছিল তিন দুষ্কৃতী। তাদের নিয়ে ছক কষেছিল ডাকাতিরও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই তিন দুষ্কৃতীর কয়েক জন সাঙ্গপাঙ্গকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভাগ্না, সুবোধ ওঁরাও এবং বিনোদ সিংহ নামে জেলে থাকা তিন দাগি দুষ্কৃতীকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মোটা অঙ্কের টাকা চেয়ে হাওড়ার প্রমোটারদের লাগাতার হুমকি ফোন। তার পাশাপাশি ডাকাতির পরিকল্পনা করা। এই অভিযোগে হাওড়া থেকে কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে ভাগ্নার নাম। সে বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। এ ছাড়া সুবোধ এবং বিনোদের নামও জানা যায় জেরায়। ভাগ্না হুগলির দাগি অপরাধী রমেশ মাহাতোর সঙ্গী ছিল। একটি খুনের ঘটনায় ভাগ্না বর্তমানে বিচারাধীন বন্দি। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হাওড়ার কয়েক জন প্রোমোটরকে জেল থেকে লাগাতার ফোন করে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হচ্ছিল বলে গোপন সূত্রে জানতে পারে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এর পরই তল্লাশি চালিয়ে হাওড়ার ব্যাঁটারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ভাগ্নার কয়েক জন সঙ্গীকে। হাওড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী তারাগতি ঘটক জানান, জেলে বসে ফোনের মাধ্যমে অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।