বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে খুন করা হয় যুবককে। —প্রতীকী চিত্র।
মায়ের সঙ্গে বিতণ্ডা বেধেছিল পাড়ারই এক যুবকের। রাগে তাঁকে গুলি করে পালিয়েছিলেন আকাশ যাদব। গুরুতর আহত অবস্থায় মিথিলেশ যাদব নামে আহত যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বেশ কিছু দিন চিকিৎসা চলার পর সুস্থ হন তিনি। এই ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আর এক মা। অবশেষে এক বছর পর বিচার পেলেন তিনি। মিথিলেশ যাদব নামে চন্দননগর থানার এক যুবককে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় আকাশ যাদব নামে এক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল শ্রীরামপুর জেলা আদালত। শনিবার সাজা ঘোষণা হতে পারে তাঁর।
বছর খানেক আগে একটি অশান্তির ঘটনায় মিথিলেশকে বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে গুলি করার করার অভিযোগ ওঠে আকাশের বিরুদ্ধে। এর পর বিহারেই গা ঢাকা দিতে চেয়েছিলেন যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁকে আগেই পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩২৬ ধারায় (ইচ্ছাকৃত ভাবে গুরুতর আঘাত করা) মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলা দায়েরের এক বছরের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।
যদিও নিম্ন আদালতে মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন অভিযুক্ত। তবে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। অবশেষে ১০ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে শুক্রবার ওই মামলায় আকাশকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
সরকার পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলার নিষ্পত্তির জন্য সরকারি কৌঁসুলি হিসাবে আমাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এক বছরের মধ্যে তা সফল হয়েছে।’’ খুনের চেষ্টার মামলার তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হওয়ায় মিথিলেশের পরিবারও খুশি।