Dilip Ghosh

‘তুই ঠিক করার কে রে?’ এ বার জেলাশাসককে বাপবাপান্ত করে বিতর্কে দিলীপ ঘোষ

আবার বিতর্কে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এ বার তাঁর নিশানায় মেদিনীপুরেরই জেলাশাসক। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতেও শোনা গেল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৩
Share:

আবার বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

রাজ্য সরকার, শাসকদল, এমনকি রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক বার নানা বিষয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এ বার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদের নিশানায় মেদিনীপুরের জেলাশাসক। ওই আমলাকে তুইতোকারি করে বাপবাপান্ত করার অভিযোগ উঠল দিলীপের বিরুদ্ধে।

Advertisement

শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ কল্যাণী পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে চা-চক্রের কর্মসূচিতে অংশ নেন দিলীপ। সেখানে আসে সম্প্রতি চলা সড়ক-বিতর্ক। রাজ্যে সড়ক নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ দীর্ঘ দিন আটকে থাকার পর পুনরায় রাজ্যকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তবে বিশেষ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। নতুন শর্তের মধ্যে রয়েছে প্রকল্প রূপায়ণ এবং রাস্তা চিহ্নিতকরণের আগে স্থানীয় সাংসদ এবং সদস্যদের মতামত নিতে হবে। ওই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘ওই সব শর্ত আগেও ছিল। কিন্তু মেদিনীপুরের জেলাশাসক কোনও দিন আমার সঙ্গে পরামর্শ করেননি। গত বছর সবকিছু ঠিক করে আমায় জানিয়েছিলেন যে এই রাস্তাগুলো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ এর পরই দিলীপ-উবাচ, ‘‘তুই (জেলাশাসক) ঠিক করার কে রে? তোর কি বাপের টাকা!’’

কল্যাণীর দক্ষিণ চাঁদমারি থেকে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ এ-ও বলেন, ‘‘যদি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পুরো নাম শিলালিপিতে না লেখা হয়, তবে ১০০ দিনের কাজের মতো প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা রাস্তার টাকা বন্ধ হবে।’’ তিনি অভিযোগের সুরে জানান, এ রাজ্যে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে রাস্তার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে মতামত নেওয়া হয় না। তাঁর কথায়, ‘‘রাস্তার নির্মাণকাজ হয়ে যাওয়ার পর জেলাশাসক একটি মেসেজ পাঠান। কিন্তু মানুষের সঙ্গে সরাসরি এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন জনপ্রতিনিধিরা। অথচ তাঁরাই ব্রাত্য! সেখানে সাধারণ নাগরিকের তো কোনও দাম নেই।’’

Advertisement

দিলীপের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কুকথা ছাড়া দিলীপ ঘোষকে কেউ চেনে না।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচ্ছন্ন মদত না থাকলে জেলাশাসক পদমর্যাদার কাউকে এ ধরনের ভাষা বলেও কেউ পার পেতে পারে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement