— প্রতীকী ছবি।
বয়সে বড় ছাত্রীর সঙ্গে মেয়ের বন্ধুত্বে আপত্তি ছিল পরিবারের। দু’জন দেখা করতে গেলেও সমস্যা তৈরি হত বাড়িতে। তা নিয়ে গোলমাল চলাকালীনই নবম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ মিলল ঘরে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ায়।
কয়েক মাস আগে নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে একই স্কুলের উঁচু ক্লাসের এক ছাত্রীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। তা নিয়ে আপত্তি ছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটির পরিবারের। দু’জনে যাতে দেখা করতে না পারে, সে জন্য প্রতিবেশীদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছিল। পরিবারের আপত্তিতে দু’জনের দেখা করা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার নবম শ্রেণির ছাত্রীর কাছে একটি মোবাইল ফোন দেখতে পান তার বাবা। তিনি বুঝতে পারেন, যোগাযোগ রাখার জন্যই মেয়েকে ফোন কিনে দিয়েছে ওই ছাত্রী। বাবা মেয়েকে বকাবকি করেন। রাতে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
মৃত ছাত্রীর বাবা একটি দোকানে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার আমার স্ত্রী পিকনিকে গিয়েছিল। তাই মেয়ে বাড়িতে একাই ছিল। মেয়ের কাছে একটি মোবাইল ফোন দেখতে পাই। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করি, কে দিয়েছে? ও কিছু বলতে চায় না। বুঝতে পারি, ওই মেয়েটিই যোগাযোগ রাখতে ফোন দিয়েছে। তবে, খুব বেশি বকাবকি করিনি। খেয়ে নিতে বলি। মেয়ে অল্প একটু খেয়ে খাবার রেখে উঠে যায়।’’
পরিবারের দাবি, বয়সে বড় ওই ছাত্রীটিই এ জন্য দায়ী। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে জন্য। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে।