মদের দোকান খোলার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা। — নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় মদের দোকান খোলা হলে পরিবেশ নষ্ট হবে। তাই দোকান বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ এলাকার বাসিন্দাদের। নাছোড় বাধার মুখে পড়ে দোকান না খুলেই চলে যান আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা। অভিযোগ, সরকারি আধিকারিকরা ফিরে যেতেই এক বিক্ষোভকারীকে মারধোর করা হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানা এলাকার কলমবাগানে প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তির সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান খোলা নিয়ে দীর্ঘ দিন আদালতে মামলা চলছিল। শনিবার কোর্টের রায় হাতে নিয়ে দোকান খুলতে আসেন আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা। কিন্তু মদের দোকান খোলা হলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে— এই দাবিতে আবগারি দফতরের আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা। বনগাঁ-বাগদা সড়ক অবরোধ করা হয়। দীর্ঘ ক্ষণ অবরোধের জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। বেগতিক দেখে দোকান না খুলেই ফিরে যান আবগারি দফতরের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, এর পরেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে মালিকপক্ষ। আন্দোলনকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি কর্তারা এলাকা ছাড়তেই মদের দোকানের মালিকের ভাড়া করা গুন্ডারা তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিগৃহীত আন্দোলনকারীর দাবি, তিনি প্রতিবাদ করেছেন বলেই তাঁকে মারধর করেছেন মদের দোকানের মালিক প্রদীপ রায় ও তাঁর লোকেরা।
যদিও মদের দোকানের মালিক প্রদীপের পাল্টা দাবি, আদালতের নির্দেশে আবগারি দফতরের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার তিনি দোকান খুলতে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, মদের দোকানের দেখাশোনার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তিনিই কয়েক জনকে টাকা দিয়ে নিয়ে এসে দোকান খুলতে বাধা দেন।
আবগারি দফতরের পক্ষে বনগাঁ রেঞ্জের ডেপুটি এক্সসাইজ কালেক্টর মহানন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘‘কোর্টের অর্ডারে আমরা দোকান খুলতে এসেছিলাম। সাধারণ মানুষের আন্দোলনের জেরে আমরা দোকান খুলতে পারিনি।’’