নিয়ম: স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে তৈরি করানো এই পোশাকই স্কুলে পাঠানো হবে। নিজস্ব চিত্র
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের প্রচলিত ইউনিফর্মের রং লাল-সাদার পরিবর্তে হয়ে গিয়েছে নীল-সাদা। তাই ওই ইউনিফর্ম নিতে আপত্তি জানালেন গোঘাট-১ ব্লকের ভগবতী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তৈয়েবুন্নেসা বেগম। আজ, মঙ্গলবারই সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পে স্থানীয় সঙ্ঘগুলির মাধ্যমে ওই ইউনিফর্ম স্কুল পৌঁছনোর কথা।
প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, “আমাদের স্কুলের বরাবরের ইউনিফর্ম লাল-সাদা। সেই শৃঙ্খলা ভেঙে নীল-সাদা পোশাক নেব না বলেছি। একই স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা লাল-সাদা ইউনিফর্ম পরবে, কিন্তু পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীরা নীল-সাদা পরবে? এরপর তো যে যার মতো পোশাক পরে এলেও কিছু বলা যাবে না।’’
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মার্চের গোড়ায় গোঘাট পঞ্চায়েতের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ে গড়া ‘বিবেকানন্দ মহিলা সঙ্ঘ’ থেকে ওই স্কুলের ছাত্রীদের পোশাকের মাপ নেওয়া হয়। তখনই নীল-সাদা ইউনিফর্মে আপত্তি জানিয়ে লাল-সাদা রঙের দিতে বলা হয়েছিল। সোমবার সেই সঙ্ঘ থেকে স্কুলে যোগাযোগ করে জানানো হয়, তাদের কাছে নীল-সাদা কাপড়ই সরবরাহ হয়েছে। সেই মতোই পোশাক বানানো সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা তখনই আপত্তি জানিয়ে পোশাক আনতে নিষেধ করেন।
প্রধান শিক্ষিকার আপত্তির কথা গোঘাট-১ চক্রের স্কুল পরিদর্শকের নজরে আনা হয়েছে জানিয়ে ওই সঙ্ঘের সম্পাদিকা মাধবী দাস বলেন, “আমাদের তরফে কিছু করার নেই। গত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুলের ইউনিফর্মের রং অনুয়ায়ী আমরা সরবরাহ করেছি। এ বার খালি নীল-সাদা কাপড়ের থানই রাজ্য জুড়ে সরবরাহ হয়েছে।”
ওই চক্রের স্কুল পরিদর্শক অরিনকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি নির্দেশিকা মতোই পোশাক সরবারহ হয়েছে জানিয়ে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যা থাকবে না।”
জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার সরকারি ভাবেই রাজ্য জুড়ে নীল-সাদা পোশাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিভিন্ন স্কুলের চালু ইউনিফর্মের সঙ্গে তা না মেলায় কিছু অসন্তোষ আছে। স্থানীয় স্তরে স্কুল পরিচালন কমিটিগুলি সে সবের সমাধান করছে।
ইউনিফর্ম নিয়ে গোঘাটের ভগবতী বালিকা বিদ্যালয়ের আপত্তি প্রসঙ্গে জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক পারমিতা বসু সাহা বলেন, “আমাদের কাছে এ রকম কোনও খবর আসেনি। এলে তাঁদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে পারি।”