—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দৈনিক মজুরি মাত্র ১০ টাকা বাড়িয়ে ‘ভিক্ষা’ নয়, অবিলম্বে চাকরিতে স্থায়ীকরণ না করলে পুজোর আগেই লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিলেন হাওড়া পুরসভার সাফাইকর্মীরা। এই দাবিতে সোমবার পুরসভার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো সাফাইকর্মী। তাঁদের অভিযোগ, গত ২০-২৫ বছর ধরে পুরসভায় কাজ করা সত্ত্বেও কারও স্থায়ী চাকরি হয়নি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দৈনিক মজুরির টাকাও তাঁরা পান না। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও পুরসভা ওই সাফাইকর্মীদের কথা ভাবছে বলে গত দু’বছরে তাঁদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া, আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী ১০০ দিনের কাজে যুক্ত প্রায় পাঁচ হাজার কর্মীর জন্য দৈনিক ১০ টাকা, দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মীদের বেতন ৩৫৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৭৬ টাকা এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন এককালীন ৫০০ টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন। এর পরেই এ দিন একটি টোটোয় মাইক লাগিয়ে ‘অখিল ভারতীয় সাফাই মজদুর সঙ্ঘ’-এর নেতৃত্বে কয়েকশো সাফাইকর্মী পুরসভায় ঢুকতে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। তখন বিক্ষোভকারীরা মূল ফটকের সামনেই বসে পড়েন।
সংগঠনের সভাপতি রহিত বাসকর বলেন, ‘‘৮ সেপ্টেম্বর ৯ দফা দাবিতে পুর কমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি চাকরিতে স্থায়ীকরণের দাবি-সহ খোলা নর্দমায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছাড়াই সাফাইকর্মীদের নামানো হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি।’’
পুর চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘পুরসভার হাতে কোনও যাদুদণ্ড নেই যে, রাতারাতি সব অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করা হবে। কারণ, এই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।’’ তিনি জানান, সাফাইকর্মীদের জন্য বিভিন্ন সদর্থক পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, পুজোর মধ্যে তাঁদের স্বাস্থ্য বিমার আওতাভুক্ত করা হবে। রাজ্য সরকারের শ্রম দফতরে সেই ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।