হাওড়া স্টেশনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে গেলেন মহিলা, আরপিএফ জওয়ানের তৎপরতায় বাঁচল প্রাণ। — নিজস্ব চিত্র।
আরপিএফ জওয়ানের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল মহিলার। ঘটনাস্থল, হাওড়া স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। চলন্ত ট্রেনে বিপজ্জনক ভাবে ওঠার চেষ্টা করছিলেন মহিলা। কিন্তু ট্রেনের গতির সঙ্গে তাল রাখতে না পেরে পড়ে যান তিনি। সামান্য দেরি হলেই প্ল্যাটফর্মের ফাঁক গলে পড়ে যেতে পারতেন রেললাইনে। সাক্ষাৎ মৃত্যু। তখনই ছুটে আসেন এক আরপিএফ জওয়ান। নিজে পড়ে গিয়েও কোনও রকমে মহিলাকে বাঁচিয়ে দেন তিনি।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১১টা। হাওড়া স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছে হাওড়া-তারকেশ্বর লোকাল। প্ল্যাটফর্মে বিশেষ ভিড় নেই। সেই সময় আচমকাই এক মহিলা দৌড়ে চলন্ত ট্রেনে উঠতে যান। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগের সঙ্গে তাল রাখতে পারেননি তিনি। পা পিছলে প্ল্যাটফর্মেই পড়ে যান তিনি। একটি হাত তখনও ট্রেনের হাতল ধরা। কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন এক আরপিএফ জওয়ান। তিনি বিপদ আঁচ করে দৌড়তে শুরু করেন। তখনও মহিলা সম্পূর্ণ ভাবে পড়ে যাননি। মহিলা পড়তেই আরপিএফ জওয়ান ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর হাত টেনে ধরেন। হ্যাঁচকা টান মেরে মহিলাকে প্ল্যাটফর্মের ভিতর দিকে নিয়ে আসেন তিনি। আর তা করতে গিয়ে নিজেও প্ল্যাটফর্মের উপরেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন ওই আরপিএফ জওয়ান। নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে নিজে পড়ে গেলেও মহিলাকে ছাড়েননি তিনি। ইতিমধ্যেই আশপাশ থেকে আরও কয়েক জন ছুটে আসেন। সবাই মিলে মহিলাকে দাঁড় করান। মহিলা সামান্য আহত হন।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার নাম ফতেমা খাতুন। বছর ৪০-এর ফতেমার বাড়ি হুগলির ব্যান্ডেলে। বুধবার সকালে তিনি এক আত্মীয়ের সঙ্গে হাওড়া থেকে শ্যাওড়াফুলি যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। যদিও আরপিএফ জওয়ানের তৎপরতায় প্রাণ বেঁচেছে।