চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতাল। — নিজস্ব চিত্র।
ধানের জমিতে বুনো শুয়োরের উপদ্রব। তাই পাহারা দিতে হয় রাতে। গভীর রাতে ধানজমি পাহারা দেওয়ার সময় এক ব্যক্তি তিন দুষ্কৃতীকে পাশের কলাবাগান নষ্ট করতে দেখে ফেলেন। জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে ধানজমিতেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার চাপড়া থানার দইয়ের বাজার এলাকা থেকে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সাধন বিশ্বাস। ৫৮ বছরের সাধনের সঙ্গে পড়শিদের জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল দীর্ঘ দিন। যার জেরে খুন বলে দাবি পরিবারের। বুধবার সকালে পরিবারের লোকেরা ধানজমি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সাধনকে উদ্ধার করে চাপড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা সাধনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দইয়ের বাজার এলাকায় চাষের জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বুনো শুয়োরের উপদ্রব। প্রতি রাতে নিয়ম করে চাষের জমি তছনছ করে দেয় শুয়োরের পাল। তাই রাতে জমি পাহারা দিতে হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানের জমি পাহারা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন সাধন। সকালে সেই জমি থেকেই তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ধানের জমির ঠিক পাশেই কলাবাগানে গাছ নষ্ট করছিল দুষ্কৃতীরা। তা দেখে ফেলাতেই খুন হতে হয়েছে সাধনকে।
সাধন বিশ্বাসের ছেলে সুজয়ের অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের চিনে ফেলাতেই সাধনকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলছেন, ‘‘পড়শিদের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিবাদ ছিল বাবার। সকালে পাশের জমিতে নষ্ট হওয়া কলাগাছ পাওয়া গিয়েছে। আমাদের সবারই অনুমান, কলাগাছ নষ্ট করার সময় বাবা দেখে ফেলায় বাবাকে খুন করা হয়েছে।’’