TMC

তৃণমূলের সভায় প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! হাতাহাতিতে জখম ২, কটাক্ষ বিজেপির

রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মাকড়দহ ১ নম্বর অঞ্চলের এক কর্মিসভায়। যদিও জগৎবল্লভপুর কেন্দ্রের ব্লক সভাপতি এটাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৩১
Share:

পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন একদল কর্মী। ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের কর্মিসভায় প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দল। ভরা সভায় হাতাহাতি জড়ালেন কর্মীরা। জখম কমপক্ষে দু’জন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মাকড়দহ ১ নম্বর অঞ্চলের এক কর্মিসভায়। যদিও জগৎবল্লভপুর কেন্দ্রের ব্লক সভাপতি এটাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ।

Advertisement

প্রায় ৭ বছর পর ডোমজুড়ের মাকড়দহ ১ নম্বর অঞ্চলের কর্মিসভা ডাকা হয়েছিল মাকড়দহ বাজারের একটি উৎসব ভবনে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর লক্ষ্যে এই কর্মিসভার আয়োজন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন জগৎবল্লভপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। হঠাৎই ওই সভায় শুরু হয় গন্ডগোল।

পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন একদল কর্মী। ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ রিয়াজ এবং সানি নামে দুই কর্মী তোলাবাজি এবং মাফিয়ারাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন একাংশ কর্মী। তখন ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ লোকজন এর প্রতিবাদ করেন। এবং পুরনো কয়েক জন কর্মীর ওপর তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এর পর শুরু হয় কিল-চড় এবং ঘুসি। মহিলা কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাঁরা আতঙ্কে হল ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে পড়েন। পুরনো কর্মীদের অভিযোগ, ‘‘বর্তমান ব্লক সভাপতির অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় তাঁর লোকজন এই হামলা চালিয়েছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছু কর্মীকে সভার চিঠি দেওয়া হয়নি। তাই তাঁরা আবেগের বশে হইচই করেছেন। কোন গন্ডগোল হয়নি। তৃণমূলে কোন গোষ্ঠীই নেই।’’

এ নিয়ে কটাক্ষের সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি। তাদের মন্তব্য, ‘‘তৃণমূলে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতার দখল এবং টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গন্ডগোল চলছেই। এটাও তেমনই ঘটনা। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তত এই ধরনের ঘটনা ঘটবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement