Uttar Pradesh

সমীক্ষা ঘিরে উত্তেজনা, উত্তরপ্রদেশে নিহত ৩

সম্প্রতি সম্ভলের একটি আদালতে মামলা হয়, ১৫২৯ সালে মোগল সম্রাট বাবর হরিহর মন্দির ভেঙে তার উপরে জামা মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১৯
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

একটি মসজিদে সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে উত্তাল হল উত্তরপ্রদেশের সম্ভল। অভিযোগ, সমীক্ষক দলকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করেন এক দল বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস এবং রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন পুলিশকর্মী। গোটা ঘটনার জন্য যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদব। তাঁর অভিযোগ, উপনির্বাচনের অনিয়ম থেকে নজর ঘোরাতেই ওই মসজিদে সমীক্ষক দলকে পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি সম্ভলের একটি আদালতে মামলা হয়, ১৫২৯ সালে মোগল সম্রাট বাবর হরিহর মন্দির ভেঙে তার উপরে জামা মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ওই দিন থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। মসজিদে আগেও সমীক্ষা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সমীক্ষক দল আজ কাজ শুরু করলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। শান্তিপূর্ণ ভাবেই সমীক্ষার কাজ শেষ হয়। মোরাদাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জনেয়া কুমার সিংহ বলেন, ‘‘সমীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই উত্তেজিত জনতা তিন দিক থেকে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস এবং রবার বুলেট ব্যবহার করে পুলিশ। এরই মধ্যে একদল লোক গাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পরে গুলি চালায় পুলিশ। জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে ১৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।’’

পুলিশ তিন নিহতের পরিচয় জানালেও কী ভাবে তাঁদের মৃত্যু হল তা নিয়ে মুখ খোলেনি। পুলিশের এক অফিসার জানিয়েছেন, সুরতহালের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, নিহতদের শরীরে বুলেটের আঘাত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় এক মহিলা-সহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। ওই মহিলা বাড়ির ছাদ থেকে ইট ছুড়ছিলেন। পুলিশের দাবি, মসজিদের ইমাম উত্তেজিত জনতাকে বার বার সরে যেতে বললেও, তাতে কাজ হয়নি।

গোটা ঘটনার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অখিলেশ। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘সম্ভলে যা ঘটছে তা অত্যন্ত গুরুতর। প্রশাসন ইচ্ছাকৃত ভাবে আজ ওই সমীক্ষক দলকে পাঠিয়েছিল। যাতে একটা গোলমাল হয় এবং তার ফলে নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে যে আলোচনা চলছিল, তা থেকে দৃষ্টি ঘোরানো যায়।’’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ওই মসজিদে আগে এক বার সমীক্ষা হয়েছিল। তা হলে দ্বিতীয় বার সমীক্ষার কী প্রয়োজন পড়ল। নিজের বক্তব্যের পক্ষে তাঁর যুক্তি, ‘‘কী দরকার ছিল, সকালবেলা সমীক্ষক দল পাঠানোর! উপনির্বাচনে বিজেপি রিগিং করে জিতেছে। তা নিয়ে যাতে কোনও কথা না ওঠে, তাই পরিকল্পনা করে এই গন্ডগোলপাকানো হল।’’


আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন