স্ত্রী অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বিরতি নিয়েছেন বহু বছর আগেই। স্বামী পুরোদস্তুর পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তবে তাঁর সম্পত্তির তালিকার দিকে এক নজর দিলে চমক লাগতে পারে। বাংলো, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে ভিকি জৈনের সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে কয়লার খনিও।
২০০৯ সালে ছোট পর্দায় সম্প্রচারিত ‘পবিত্র রিশ্তা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। অভিনয়ের পাশাপাশি চর্চায় এসেছিল অঙ্কিতার ব্যক্তিগত জীবনও। বলি অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে সেই ধারাবাহিকে জুটি বেঁধেছিলেন অঙ্কিতা। জুটি বেঁধেছিলেন বাস্তবেও।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ২০১০ সালে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অঙ্কিতা। ২০১৬ সালে সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন ভিকির সঙ্গে আলাপ হয় অঙ্কিতার। সুশান্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ভিকির সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়ে ওঠে টেলি অভিনেত্রীর।
২০১৯ সালে ভিকির সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন অঙ্কিতা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভিকিকে বিয়ে করেন অঙ্কিতা। ২০২৩ সালেও ভিকি এবং অঙ্কিতার দ্বিতীয় বার বিয়ে হয়। ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে একসঙ্গে ইউরোপ ঘুরতে যান তাঁরা। সেখানে গিয়ে আবার আংটিবদল করে বিয়ে করেন দু’জনে।
বিয়ের পর অভিনয় থেকে খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন অঙ্কিতা। ২০১৯ সালে কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি’র পাশাপাশি চলতি বছরে মুক্তি পাওয়া ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’ ছবিতেও অভিনয় দেখা গিয়েছে অঙ্কিতার। ভিকির সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘বিগ বস্ ১৭’ রিয়্যালিটি শোয়ে প্রতিযোগী হিসাবে অংশগ্রহণ করার পর ভিকিকে নিয়ে আলাদা করে কৌতূহল তৈরি হয়েছে দর্শকের।
১৯৮৬ সালের অগস্ট মাসে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে জন্ম ভিকির। তাঁর আসল নাম বিকাশকুমার জৈন। তবে ভিকি নামেই অধিক পরিচিত তিনি।
স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর পুণেয় চলে যান ভিকি। অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক হন তিনি। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য মুম্বই যান ভিকি। সেখানকার একটি বেসরকারি কলেজ থেকে এমবিএ নিয়ে পড়েন তিনি।
পড়াশোনা শেষ করে পারিবারিক ব্যবসায় মন দেন ভিকি। কয়লার খনি রয়েছে জৈন পরিবারের। ২০০৮ সালে বিলাসপুরের এক কয়লাখনির মালিকানা অর্জন করেন তিনি।
কানাঘুষো শোনা যায়, অঙ্কিতার আগে নাকি বলিপাড়ার এক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ভিকি। ‘১৯২০: এভিল রিটার্নস’, ‘হন্টেড ৩ডি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিয়া বাজপেয়ী। তাঁর সঙ্গেই নাকি ২০১২ সালে সম্পর্কে ছিলেন ভিকি। পরে কোনও অজানা কারণে তাঁদের বিচ্ছেদও হয়ে যায়।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, বিলাসপুরে একটি বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে ভিকির। সেখানেই ভিকির পরিবারের সদস্যেরা থাকেন। পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে সেই বাংলোয় যান ভিকি এবং অঙ্কিতা।
সম্পর্কে আসার পর ২০১৯ সালে মুম্বইয়ের একটি বিলাসবহুল এলাকায় অঙ্কিতার সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি ফ্ল্যাট কেনেন ভিকি। এই ফ্ল্যাটে মোট আটটি ঘর রয়েছে। ২০১৯ সালে এই ফ্ল্যাটের বাজারমূল্য ছিল ৫০ কোটি টাকা।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, মুম্বইয়ে ভিকি এবং অঙ্কিতার আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই ফ্ল্যাটে তিনটি বেডরুম রয়েছে বলে জানা যায়।
খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থাকায় একটি বিনোদনমূলক খেলার দলের মালিকানা ছিল ভিকির। মুম্বইয়ের ‘বক্স ক্রিকেট লিগ’-এর সহ-মালিকানা ছিল অঙ্কিতার স্বামীর।
বলিপাড়ার জনশ্রুতি, অঙ্কিতা এবং ভিকি মিলে মুম্বইয়ে একটি ডায়ালিসিস কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বিলাসবহুল গাড়ি সংগ্রহ করার শখ রয়েছে ভিকির। তাঁর গ্যারাজে রয়েছে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজ়ার, মার্সিডিজ় বেঞ্জের মতো দামি গাড়ি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, বিলাসপুরে কয়েকটি আসবাবপত্রের দোকানও রয়েছে ভিকির। বর্তমানে ১৩০ কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক অঙ্কিতার স্বামী।