পরপর চুরি-ডাকাতি, আতঙ্ক শ্যামপুরে
robbery

হানা মন্দিরে, লুটতরাজ

মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, শনিবার রাতে মন্দিরে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকার সোনাও রুপোর গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:০০
Share:

বাগাণ্ডা কালীবাড়ি মন্দির। —নিজস্ব চিত্র।

এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই আবার বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটল শ্যামপুরে। এ বার দূষ্কৃতীদের লক্ষ্য ছিল বাগাণ্ডা কালীবাড়ি মন্দির।

Advertisement

মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, শনিবার রাতে মন্দিরে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকার সোনাও রুপোর গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। তবে সোমবার সন্ধে পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকার সমস্ত ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যরাতে কালীবাড়ির মন্দিরের পিছনের দরজার তালা ভাঙে দুষ্কৃতীরা। তারপর মন্দিরে ঢুকে লুটপাট চালায়। প্রসূন পাল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘রবিবার সকালে মন্দিরে এসে দেখি প্রতিমার গায়ে গয়না নেই। মন্দিরের পিছনের দরজার তালা ভাঙা। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘শ্যামপুরে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বাড়ছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পুলিশের নজরদারিতে খামতি রয়েছে বলেই এই সব ঘটনা ঘটছে।’’

Advertisement

গত এক মাসে শ্যামপুরে দু’টি ডাকাতি ও বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে। সপ্তাহ খানেক আগে শ্যামপুরের ঝুমঝুমিতে এক গৃহস্থের বাড়ির তালা ভেঙে চুরি হয়। গত ৫ জানুয়ারি রসুলপুরে একটি বাড়িতে মধ্য রাতে হানা দিয়ে গৃহকর্তাকে মারধর করে কয়েক ভরি সোনার গয়না ও বেশ কয়েক হাজার টাকা লুট করে দুষ্কৃতীরা। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে রসুলপুর থেকে এক কিলোমিটার দূরে নবগ্রামে একই কায়দায় ডাকাতি হয়। পুলিশের দাবি, শেষ দু’টি ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশকিছু গয়নাও উদ্ধার হয়েছে।

এলাকায় একের পরে এক চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের আশ্বাস, দুষ্কৃতীদের ধরা হবে। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement