অবরোধ: এলাকার বেহাল অবস্থার প্রতিবাদ হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোড সংলগ্ন বাসিন্দাদের। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তা কংক্রিটে বাঁধিয়ে উঁচু করে দেওয়ায় অলিগলি থেকে বেরোতে পারছে না জমা জল। গত দু’সপ্তাহ ধরে জমে থাকা সেই জল থেকে বেরোচ্ছে তীব্র পচা গন্ধ। দিনের পর দিন সেই জল ডিঙিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। জমা জল অবিলম্বে বার করার দাবিতে শুক্রবার টানা আড়াই ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। যার জেরে শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তায় তৈরি হয় তীব্র যানজট। পুরসভার পক্ষ থেকে লিখিত আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
শুক্রবার এই অবরোধ হয় হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোডে। অবরোধকারীদের মধ্যে মহিলারাই ছিলেন বেশি। তাঁদের অভিযোগ, পুজোর আগে পুরসভা পঞ্চাননতলা রোডের একাংশ কংক্রিটে বাঁধিয়ে উঁচু করার কাজ শুরু করে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য সেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ দিকে রাস্তা উঁচু হয়ে যাওয়ায় জমা জল গলি থেকে বেরোতে না পেরে আটকে যায়। ফলে বৃষ্টি থামার পরেও সেই জমা জল পেরিয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
শ্রাবণী পাল নামে বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, ‘‘দশমীর দিন থেকে তালপুকুর, শান্তি সঙ্ঘ, হৃদয়কৃষ্ণ ব্যানার্জি লেন, শিমুলতলা ও লেবুতলা এলাকায় জল জমে আছে। বড় রাস্তা উঁচু হয়ে যাওয়ায় সেই জল বেরোতে পারছে না। অফিস যেতে পারছি না। কলকারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এ সব আর কত দিন সহ্য করব?’’
এ দিন বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, অবিলম্বে নোংরা জল বার করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুরসভার আধিকারিকদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। বিক্ষোভ ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জানান, পুরসভার কোনও কর্তা এসে লিখিত প্রতিশ্রুতি না দিলে অবরোধ তোলা হবে না। শেষে পুরসভার নিকাশি দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পি কে ভঞ্জ ঘটনাস্থলে এসে বাসিন্দাদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ উঠে যায়।