Hina Khan

ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে, তার মধ্যেই অভিনয়ে ফিরছেন হিনা খান, কোন চরিত্রে দেখা মিলবে তাঁর?

হিনার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে এখনও। চিকিৎসার বিভিন্ন পর্যায়ে নিজের যন্ত্রণা, হতাশা এবং সেই হতাশা কাটানোর কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১৩
Share:
Actress Hina Khan to resume work for a new web series amid her cancer treatment

হিনার বড় পদক্ষেপ। ছবি: সংগৃহীত।

ক্যানসার কোনও ভাবেই দমিয়ে রাখতে পারছে না হিনা খানকে। মারণ রোগকে তুড়ি মেরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কেমো চলাকালীন যন্ত্রণার কথা একাধিক বার তুলে ধরেছেন হিনা খান। তবে সব যন্ত্রণার মাঝেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কখনও মার্জার সরণীতে হেঁটেছেন, কখনও আবার ফোটোশুটে মেলে ধরেছেন নিজেকে। আর এ বার পাকাপাকি ভাবে কাজে ফিরছেন হিনা।

Advertisement

ছোট পর্দা থেকেই পরিচিতি হিনা। আর এ বার ওটিটি মঞ্চে প্রত্যাবর্তন অভিনেত্রীর। ‘গৃহলক্ষ্মী’ নামে আসন্ন এক ওয়েব সিরিজ়ে ফিরছেন হিনা। এই সিরিজ়ে রয়েছে টিকে থাকার লড়াইয়ের কথা। হিনা ছাড়াও অভিনয় করছেন চাঙ্কি পাণ্ডে, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য ও রাহুল দেব।

হিনার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে এখনও। চিকিৎসার বিভিন্ন পর্যায়ে নিজের যন্ত্রণা, হতাশা এবং সেই হতাশা কাটানোর কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে হিনা জানিয়েছেন, শেষ ১৫-২০ দিনের সফর তাঁর কাছে অত্যন্ত কঠিন ছিল। কতটা কঠিন, তার ব্যাখ্যা করে হিনা লিখেছেন, ‘‘শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কঠিনতম। প্রতিকূলতা আসবে জানতাম। প্রতিকূলতা এলও। কিন্তু আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম, যা-ই হোক না কেন, যত বড়ই প্রতিকূলতা হোক, তার মুখোমুখি দাঁড়াব। দরকার হলে আমার সবটুকু দেব। তা-ই করেছি। একটুও ভয় পাইনি। যে শারীরিক বাধা এবং যে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, তা বলার মতো নয়। কিন্তু তার সামনে হেরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না। তাই আমি লড়াই করেছি। আর এখনও করছি।’’

Advertisement

কয়েক মাস আগে সমাজমাধ্যমে হিনা নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ক্যানসারের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও কেন কাজ থেকে বিরতি নিচ্ছেন না, তা নিয়েও একটি পোস্ট করেছিলেন হিনা। জীবনের এই পর্বে বহু ক্যানসার আক্রান্তের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে এবং তাঁরাই সাহস জুগিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী।

হিনা লিখেছিলেন, “বহু ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে গত কয়েক দিনে আলাপ হয়েছে। কারও অবস্থা আমার থেকে ভাল। কারও অবস্থা আমার থেকেও খারাপ। কিন্তু যে ভাবে তাঁরা এই রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন, তা-ই আমার কাছে অনুপ্রেরণা। কেমো নেওয়ার পরে তাঁরা লোকাল ট্রেন বা বাসে যাতায়াত করেন। তা-ও তাঁদের মুখে হাসি থাকে। কেউ কেউ চিকিৎসকের কাছে একাই আসেন। তার পরে অফিসে যান।” এই অভিজ্ঞতাগুলোই আরও সাহস জুগিয়েছে হিনাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement