হাওড়া স্টেশন। —ফাইল চিত্র।
হাওড়া স্টেশন চত্বরে নানাবিধকাজের জন্য জল সরবরাহ ব্যবস্থাকে সেন্সর-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির আওতায় আনলেন রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া স্টেশনের পুরনো এবং নতুন কমপ্লেক্স ছাড়াওটিকিয়াপাড়া কোচিং কমপ্লেক্স, সর্টিং ইয়ার্ড এবং কোচ ওয়াশিং প্লান্টকেএই নতুন ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে।
দূর-নিয়ন্ত্রিত এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে দিনরাত জল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। স্টেশন এলাকার ২৭টি পাম্পকে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আলাদা করে কর্মী নিয়োগ না করেই নিয়ন্ত্রণ করাযাবে বলে রেল সূত্রের খবর। হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমারের আগ্রহে নতুন এই প্রযুক্তি বসানো হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। এইব্যবস্থার আওতায় হাওড়া স্টেশনের পুরনো এবং নতুন কমপ্লেক্সে দু’টি করে মোট চারটি পানীয় জলের পাম্প রয়েছে। সেই সঙ্গেটিকিয়াপাড়া কোচিং কমপ্লেক্সের তিনটি, সর্টিং ইয়ার্ড কোচিং কমপ্লেক্সের সাতটি এবং বিভিন্ন কুয়ো থেকে জল তোলার জন্য আরও ১৩টি পাম্প রয়েছে।
এত সংখ্যক পাম্প চাহিদাঅনুযায়ী দিন-রাতের বিভিন্ন সময়ে চালানোর জন্য প্রচুর কর্মীপ্রয়োজন। আবার সেই কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি ওই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিষেবা এবং যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে সমস্যাতৈরি করতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই পুরো ব্যবস্থাটি স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। এই প্রযুক্তি সার্বিকব্যবস্থাপনায় গন্ডগোল, শর্ট সার্কিট, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পরিবহণেরফলে তৈরি হওয়া সমস্যা, সিঙ্গল ফেজ়িং, জল ছাড়াই পাম্প চলতেশুরু করা ছাড়াও আরও একাধিক সমস্যা চিনতে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। ফলে, সার্বিক ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেকটাই কমে। সারা ক্ষণ উৎস ছাড়াও জলাধারে জলেরউচ্চতার দিকেও নজর রাখে এই ব্যবস্থা। ফলে, জলের জোগানেঘাটতি দেখা দেয় না বলে রেল সূত্রের খবর।