চলন্ত ট্রেনে বসে মদ্যপানের অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।
ট্রেনের কামরায় মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় হুগলি জেলার গোবরার এক রেলকর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল রেলের সাফাই কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে আসানসোল স্টেশনে। ওই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরপিএফ সূত্রে খবর, গত ৮ অক্টোবর হাওড়া কারশেডের ইলেকট্রিক্যাল মেনটেন্যান্স বিভাগের কর্মী শিবশঙ্কর দত্ত সহকর্মীদের সঙ্গে পরিবার নিয়ে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন। শিবশঙ্কর হুগলির গোবরার বাসিন্দা। গত ১৯ অক্টোবর রাতে বাড়ি ফেরার জন্য তিনি জম্মু স্টেশন থেকে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে ওঠেন। তাঁর অভিযোগ, সেই সময় বি ৩ কোচে তাঁর উল্টো দিকের আসনে বসে শত্রুধন রাম নামে এজেন্সির অধীনস্থ চুক্তিবদ্ধ এক সাফাই কর্মী মদ্যপান করছিলেন। এর প্রতিবাদ করেন তিনি। তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় তিনি বিষয়টি সরাসরি জানান আরপিএফ জওয়ানদের। এর পর আরপিএফ জওয়ানরা শত্রুধনের মদের বোতল কেড়ে নেন। তাঁকে অন্য আসনে সরিয়েও দেওয়া হয়। এর পর শত্রুধন নামে ওই সাফাই কর্মী বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ট্রেনটি যখন আসানসোল স্টেশনে পৌঁছয় তখন শত্রুধন হঠাৎ ১০-১২ জন সাফাইকর্মীকে নিয়ে লাঠি এবং লোহার রড হাতে ওই কোচে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ। আহত অবস্থায় কোচেই লুটিয়ে পড়েন শিবশঙ্কর। ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান ওই রেল কর্মী।
শিবশঙ্কর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রানিগঞ্জ স্টেশনের ম্যানেজারের কাছে। হাতে, পায়ে এবং বুকে চোট রয়েছে তাঁর। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চলন্ত টেনে ধূমপান এবং মদ্যপান নিষিদ্ধ। এ নিয়ে নিয়মিত প্রচারও করা হয়। ওই ঘটনায় শত্রুধনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেলপুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’’ ওই কাণ্ডে বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।